স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন, এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি কি এ সম্পর্কে আলোচনা করব।
এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিভাবে বৃদ্ধি পায় এ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম গুলো কি কি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন জেনে নিন
- স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন
- স্বাস্থ্যবিধি কি এবং এর গুরুত্ব
- জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধির ভূমিকা
- ব্যক্তিগত পরিছন্নতা কেন গুরুত্বপূর্ণ
- স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সময় সংক্রমক রোগ প্রতিরোধ
- খাবার প্রস্তুত এবং সংরক্ষণের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা
- মানসিক সুস্থতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা
- শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন
- অফিস এবং পাবলিক প্লেসে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রয়োজনীয়তা
- লেখক এর মন্তব্য
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা শুধু ব্যক্তিগত সুস্থতার জন্যই নয় এটি একটি সুস্থ সমাজ এবং জীবনধারা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য এবং জীবাণু সংক্রমণ বিভিন্ন রোগের বিস্তার প্রতিরোধ এবং সামগ্রিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন নিচে এই নিয়ে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা হলো।
- স্বাস্থ্যবিধি মানলে রোগের বিস্তার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় এবং সঠিকভাবে হাত ধোয়া, , জীবাণুনাশক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আমরা ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে নিজেদের এবং আশেপাশের মানুষদের সুরক্ষিত রাখতে পারে এবং বিশেষ করে মহামারীর সময় স্বাস্থ্যবিধি মানার গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে যায়।
- স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য সহায়ক। এটি শরীরকে রোগমুক্ত রাখে যা কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং একজন সুস্থ ব্যক্তির দৈনন্দিন কাজে মননিবেশ করতে অনেক আনন্দ বোধ করে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সক্ষম হন।
- স্বাস্থ্যবিধি মানার মাধ্যমে ডেঙ্গু, টাইফয়েড এবং ফ্লু বা কোভিড 19 এর মত সংক্রমক রোগ থেকে নিজেকে এবং অন্যদের রক্ষা করা যায় আর পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখা মুখে মাস্ক পরা এবং জীবাণুমুক্ত উপায়ে খাবার তৈরি করা সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
- ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা যেমন নিয়মিত গোসল করা পরিষ্কার পোশাক পরা এবং সঠিকভাবে খাদ্য গ্রহণ করা শরীরের রোগ মুক্ত রাখে এবং এটি ত্বক দাঁত এবং চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মানলে আমরা আত্মবিশ্বাসী ও সুস্থ জীবন যাপন করতে পারি।
- স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পর্যায়ে নয় পরিবার এবং বৃহত্তর সমাজের ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্য রক্ষাতে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রত্যেকের স্বাস্থ্যবিধির মেনে চলে তখন রোগ সংক্রমনের হার কমে এবং একটি সুস্থ সমাজ গড়ে ওঠে।
- শারীরিক স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার জন্য ও পরিচালনা পরিবেশ ও জীবনধারা গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি সুস্থ পরিবেশ আমাদের মানসিক চাপ কমায় এবং মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা মানসিকভাবে সংরক্ষিত ও সুরক্ষিত আর আত্মবিশ্বাসী রাখতে সহায়তা করে।
- পরিছন্নতা একটি কার্যকর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে এবং নিয়মিত হাত ধোয়া জীবাণু নাশক ব্যবহার এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা জীবাণু থেকে সুরক্ষিত থাকার একটি অন্যতম উপায়। গবেষণায় দেখা গেছে স্বাস্থ্যবিধি মানলে সংক্রমক রোগের ঝুঁকি ৫০% পর্যন্ত কমে যায় এবং এটি শুধুমাত্র শারীরিক স্বার্থের উন্নতিতেই নয় বরং মানসিক শান্তি আনতে গুরুত্বপূর্ণ।
- খাদ্য গ্রহণের আগে এবং পরে হাত ধোয়া সঠিক তাপমাত্রায় খাবার রান্না করা এবং বিশুদ্ধ পানি পান করা সুস্থ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য। এই অভ্যাস গুলো খাদ্যজনিত রোগ যেমন টাইফয়েড আর ডায়রিয়া অসুস্থ থাকা ব্যক্তিদের কে সুরক্ষা দেয়। খাবারের পুষ্টিমান বজায় রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মানার গুরুত্ব অপরিসীম।
স্বাস্থ্যবিধি কি এবং এর গুরুত্ব
স্বাস্থ্যবিধি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা নিয়ম এবং ব্যক্তির সমাজের লক্ষ্য সুরক্ষিত রাখে। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু অভ্যাস অন্তর্ভুক্ত করে যা স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখে এবং রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে স্বাস্থ্যের জন্য আমাদের সঠিক স্বাস্থ্যবিধি এবং পারিবারিক সমাজের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুস্থতা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
স্বাস্থ্যবিধির মৌলিক ধারণাঃ স্বাস্থ্যবিধি বলতে বোঝায় ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবহার এবং পরিবেশের পরিছন্নতা বজায় রাখা এবং এটি শুধুমাত্র রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে না বরং স্বাস্থ্যকর জীবন ধারার ভিত্তি গড়ে তোলে যেমন নিয়মিত হাত ধোয়া নির্মূল করে এবং যেখানে পরিষ্কার পোশাক পরিধান শরীরকে সুস্থ রাখে।
সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে ভূমিকাঃ স্বাস্থ্যবিধি মানলে সংক্রামক রোগের বিস্তার অনেকাংশে কমানো সম্ভব এবং জীবাণু যেমন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থেকে উদ্ভাবন হয় তেমনি ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইফয়েড বা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর এবং নিয়মিত হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক ব্যবহার করা এবং সঠিক সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে অনেক রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
শিশু ও বৃদ্ধদের সুরক্ষাঃ শিশু এবং বৃদ্ধরা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে দুর্বল এবং শিশুদের খাওয়ার আগে এবং পরে হাত ধোয়া, তাদের খেলনার পরিষ্কার রাখা, এবং বৃদ্ধদের জন্য পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অভ্যাসগুলো তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বড় ভূমিকা রাখে।
খাদ্য ও পানীয় এর স্বাস্থ্যবিধিঃ খাদ্য ও পানীয় এর ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশুদ্ধ পানি পান আর সঠিক তাপমাত্রায় খাবার রান্না ও খাবার পরিবেশন করার আগে পরিষ্কার প্লেটে রাখা খাদ্যের পুষ্টিমান বজায় রাখে এবং খাদ্যজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে। এর মাধ্যমে টাইফয়েড এবং হেপাটাইটিস আর ফুড পয়জনিং এর মত রোগ এড়ানো যায়।
পরিবেশ পরিছন্নতার গুরুত্বঃ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং পরিবেশ বজায় রাখা একটি স্বাস্থ্যবিধির অবিচ্ছেদ্য অংশ। ডাস্টবিন ব্যবহারের অভ্যস্ত হওয়া এবং জলাশয় পরিষ্কার রাখা আর বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার পরিবর্তে সঠিক প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি করা পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ভূমিকাঃ শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য নয় বরং স্বাস্থ্যবিধি মানা মানসিক স্বাস্থ্য ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। এবং চাপ কমায় যখন আমরা একটি পরিচ্ছন্ন জীবন দ্বারা অনুসরণ করি তখন এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং আমাদের চারপাশের মানুষদের প্রতিও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধির ভূমিকা
স্বাস্থ্যবিধি মানা জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি গুলোর একটি। জীবাণু যেমন ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগ মানবদেহে নানা প্রভাব ফেলতে পারে। নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মানলে এসব জীবনের বিস্তার কমানো সম্ভব। সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মানা ব্যক্তিগত এবং সামাজিকভাবে রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
হাত ধোয়ার গুরুত্বঃ হাত ধোয়া হলো জীবনের সংক্রমণ প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর এবং সহজলভ্য পদ্ধতি এবং প্রতিদিনের কাজ যেমন খাওয়ার আগে শৌচাগার ব্যবহারের পর এবং বাইরে থেকে ফিরে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোঁয়া অপরিহার্য এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী সঠিকভাবে হাত তুলে ৮০% পর্যন্ত সংক্রমক করা যায় রোগ প্রতিরোধ।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধানঃ জীবনের সংক্রমণ রোধে পরিষ্কার পোশাক পরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং নোংরা ও অপরিষ্কার পোশাক জীবাণু বহন করে এবং ত্বকের রোগ সৃষ্টি করতে পারে এবং নিয়মিত পরিষ্কার কাপড় ধোয়া এবং রোদে শুকানো জীবাণু দূর করে আর এছাড়াও বাইরে ব্যবহৃত পোশাক আলাদা রাখা এবং পরিধানের পর দ্রুত ধুয়ে ফেলা প্রয়োজন।
পরিষ্কার পানির ব্যবহারঃ পানির মাধ্যমে জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই বিশুদ্ধ পানি পান এবং রান্নার কাজে ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশেষ করে ফুটানো পানি পান করলে ডায়রিয়া কলেরা এবং হেপাটাইটিস এর মত রোগ প্রতিরোধ করা যায়। পয়ঃনিষ্কাশন সঠিকভাবে করা এবং নোংরা পানি ব্যবহারের অভ্যাস ত্যাগ করা স্বাস্থ্যবিধির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
খাবারের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখাঃ খাবারের মাধ্যমে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি। খাবার প্রস্তুত এবং পরিবেশন এর সময় সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মানা অত্যন্ত জরুরী। রান্নার আগে শাকসবজি এবং মাংস সঠিকভাবে ধোয়া রান্নার পর খাবার ঢেকে রাখা এবং বাসি খাবার পুনরায় ব্যবহার এড়ানো জীবন সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
পরিবেশ পরিষ্কার রাখাঃ পরিবেশের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার মাধ্যমে জীবাণুর বিস্তার কমানো সম্ভব। ডাস্টবিন সঠিকভাবে ব্যবহার এবং আবর্জনা নিষ্পত্তি এবং মশার বংশবৃদ্ধি রোধে জলাশয় পরিষ্কার রাখা অপরিহার্য এবং অপরিষ্কার পরিবেশ ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের উৎস হতে পারে।
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাঃ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মানা জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং নিয়মিত গোসল, নখ কাটা, এবং দাঁত ব্রাশ করার মত সাধারণ অভ্যাসগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক ব্যবহার করলে জীবাণুর সংক্রমণ কমানো যায়।
ব্যক্তিগত পরিছন্নতা কেন গুরুত্বপূর্ণ
ব্যক্তিগত পরিছন্নতা মানে নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর রাখা এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা রাখা দরকার। এটি কেবল ভালো দেখানোর জন্যই নয় বরং সুস্থ জীবন যাপনের জন্য অপরিহার্য নিম্নে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাঃ ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রধান মাধ্যম এবং পরিষ্কার না থাকলে শরীরে জীবাণু জমে নানা ধরনের রোগ হতে পারে যেমন ত্বকের সংক্রমণ এবং হজমের সমস্যা আর ডায়রিয়া। নিয়মিত গোসল ও হাত ধোয়া এবং পোশাক পরিস্কার রাখার মাধ্যমে এসব প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
নিজের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি করেঃ পরিচ্ছন্ন থাকলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নোংরা বা অপরিষ্কার পোশাক পরা ব্যক্তিগত গন্ধ অন্যের সাথে মেলামেশায় অসুবিধা তৈরি করে। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাস মানুষের ব্যক্তিত্বের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সামাজিক সম্পর্ক উন্নত করেঃ পরিছন্ন থাকার সামাজিক জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিষ্কার ব্যক্তি অনেক সময় সামাজিকভাবে বিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা শুধু নিজেকে নয় অন্যদেরও আরামদায়ক পরিবেশ দিতে সহায়তা করে।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়ঃ পরিচ্ছন্ন থাকা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ও প্রয়োজনীয় এবং অপরিষ্কার পরিবেশে মনোযোগ কমে যায় এবং হতাশা বাড়ে। অন্যদিকে পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন মানসিক স্বস্তি এনে দেয় এবং ভালো অভ্যাস গড়ে তোলে।
জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করেঃ হাত ধোয়া এবং দাঁত ব্রাশ করা এছাড়া অন্যান্য পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বা জীবাণুনাশক সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস রোগের বিস্তার রোধ করে।
দীর্ঘমেয়াদি সুস্থতা নিশ্চিত করেনঃ ব্যক্তিগত পরিছন্নতা দীর্ঘমেয়াদে সুস্বাস্থ্যের গ্যারান্টি দেয় এবং নিয়মিত পরিছন্নতার চর্চার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং জীবনকে দীর্ঘস্থায়ী ও আনন্দময় করে তোলে। পরিশেষে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা শুধুমাত্র নিজের জন্য নয় চারপাশের পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য ও অপরিহার্য। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং সুস্থ সুন্দর ও সুফল জীবন যাপনের সহায়তা করে।
পেশাগত জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেঃ পরিচ্ছন্ন থাকা পেশাগত জীবনে সফলতার একটি গোপন চাবিকাঠি। এবং একজন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি কর্ম ক্ষেত্রে আর ও আত্মবিশ্বাসী এবং পেশাদার মনে হয় এবং বিশেষ করে সেবামূলক বা ক্লাইন্ট ভিত্তিক কাজে পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস আপনার গ্রহণযোগ্যতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায় এবং এটি কর্মদক্ষতার উপর ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সময় সংক্রমক রোগ প্রতিরোধ
সংক্রমক রোগ প্রতিরোধে হাত ধোয়ার অভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংক্রম ও প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন আমাদের হাত বিভিন্ন জীবাণুর সংস্পর্শে আসে যা সহজে মুখ নাক বা চোখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে এবং সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার মাধ্যমে জীবাণু দূর করা যায় এবং বিশেষ করে খাবার খাওয়ার আগেও টয়লেট ব্যবহারের পরে হাত ধোয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
- ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ছাড়ানোর অন্যতম প্রধান মাধ্যম হলো শ্বাস-প্রশ্বাস। সংক্রমক রোগ প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার করা অপরিহার্য। জনবহুল স্থানে বা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং এটি শুধুমাত্র নিজের সুরক্ষার জন্য নয় অন্যদের সুরক্ষার জন্য ও জরুরী।
- সংক্রমক রোগ বিশেষ করে কোভিড ১৯ এর বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব অত্যন্ত কার্যকর এবং জনসমাগম এরিয়া চলা কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা এবং হাচি বা কাশির সময় মুখ ঢাকার অভ্যাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং এটি বিশেষ করে ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
- ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা যেমন প্রতিদিন গোসল করা এবং পরিষ্কার পোশাক পরা এবং নখ ছোট রাখা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। অপরিচ্ছন্ন দেহ এবং পোশাক ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে। তাই ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
- ঘরবাড়ির সঠিক পরিচ্ছন্নতা সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং প্রতিদিন মেঝে পরিষ্কার রাখা এবং আলোর সুইচ জীবন মুক্ত রাখা এবং রান্নাঘর ও বাথরুম পরিষ্কার রাখা জীবাণুর বিস্তার কমায়। এছাড়া বদ্ধ ঘরে নিয়মিত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখা জীবাণু ধ্বংসের সহায়ক।
- স্বাস্থ্যবিধির পাশাপাশি সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে টীকা গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিরোধমূলক টিকা যেমন হেপাটাইটিস বা কোভিড 19 এর টিকা শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে এবং সময়মতো টিকা গ্রহণ রোগের ঝুঁকি উল্লেখ ভাবে কমিয়ে দেয়।
- স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সঠিক খাদ্যাভাস ও পর্যাপ্ত বিশ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম। পুষ্টিকর খাবার যেমন ফলমূল শাকসবজি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং একই সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধে কোষগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। যা সংক্রমক রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
খাবার প্রস্তুত এবং সংরক্ষণের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা
খাবার প্রস্তুত এর সময় পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। রান্নার আগে হাত ধোয়া এবং ব্যবহৃত ছুরি এবং কাটিং বোর্ড ও রান্নার পাত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করা নিশ্চিত করতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা দরকার কারণ তার মধ্যে অন্যতম হলো স্বাস্থ্যবিধি খাবার প্রস্তুত করতে মেনে চলা। একটি কারণ রান্নার শুকনো স্থান এবং জীবন মুক্ত খাবারে অপ্রত্যাশিত জীবাণুর উপস্থিতি প্রতিরোধ করা।
কাঁচা ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখাঃ কাঁচা খাবারের সংস্পর্শে রান্না করা খাবার এলে জীবন সংক্রমনের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং বিশেষত কাঁচা মাংস এবং সবজি রান্না করা খাবার থেকে দূরে রাখতে হবে এবং আলাদা স্টোরেজ ব্যবস্থা এবং পৃথক কাটিং বোর্ড ব্যবহার করে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ কাঁচা আমলকি খাওয়ার ২০টি নিয়ম ও উপকারিতা
সঠিক তাপমাত্রায় রান্না নিশ্চতঃ খাবারের মধ্যে থাকা যেকোনো সম্পন্ন ধ্বংস করতে সঠিক তাপমাত্রায় রান্না অপরিহার্য। মাংস, ডিম এবং মাছের মতো খাবারের উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা উচিত এবং খাদ্য সংক্রান্ত গবেষণায় বলা হয় অন্তত ৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রান্না করলে জীবাণু ধ্বংস হয়।
খাবার দ্রুত ঠান্ডা এবং ফ্রিজে সংরক্ষণঃ রান্না করা খাবার যদি দীর্ঘ সময় গরম বা তাপমাত্রায় রাখা হয় তাহলে তাদের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। খাবার দ্রুত ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে এই ঝুঁকি কমানো সম্ভব। তাপমাত্র চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার কম হলে খাবার দীর্ঘ সময় ভালো থাকে।
খাদ্য সংরক্ষণের পাত্র জীবাণুমুক্ত করাঃ খাদ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত পাত্র গুলো ভালোভাবে জীবন মুক্ত করতে হবে। গ্লাস বা প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহারের আগে সাবান ও গরম পানিতে ধুয়ে শুকানো উচিত। এতে খাবারে বাইরের জীবন সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
খাদ্য প্রস্তুতির সময় স্বাস্থ্যবিধিঃ খাবার তৈরি করার সময় মুখে মাস্ক পড়া এবং পরিষ্কার পোশাক ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া কাশি দিলে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এটি রান্নার সময় খাবারে জীবাণু ছাড়ানো প্রতিরোধ করে এবং খাবার প্রস্তুতির সময় সামান্য অসাবধানতা পুরো পরিবারের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
মানসিক সুস্থতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা
খাবার সংগ্রহের জন্য বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার করা জরুরি। এটি খাবারের আদ্রতা এবং অক্সিজেন প্রবেশ বন্ধ করা যা ব্যাকটেরিয়া এবং ফাংগাস বিরুদ্ধে ঝুঁকি কমা এবং পাত্রের ঢাকনা সঠিকভাবে বন্ধ করতে হবে এবং বিশেষ করে রান্না করা খাবার ও কাঁচা খাদ্য ভালোভাবে রাখার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন খাবার সংরক্ষণে এর ক্ষেত্রে।
খাবার সংরক্ষণের সময় নির্ধারণঃ সংরক্ষিত খাবার কতদিন পর্যন্ত খাওয়া নিরাপদ তা জানা গুরুত্বপূর্ণ এবং রান্না করা খাবার সাধারণত ফ্রিজে দুই থেকে তিন দিনের বেশি রাখা উচিত নয়। তাজা ফল এবং সবজি সংরক্ষণের আগে তাদের সঠিকভাবে ধুয়ে শুকানো প্রয়োজন।
ফ্রিজের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ খাবারের দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষার জন্য ফ্রিজে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং তার কম আর সিরিজের তাপমাত্রা মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখা দরকার। নিয়মিত ফ্রিজের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে খাবার কোন প্রকার জমাট বাধছে বা পচছে না।
ওভারকুকিং এড়িয়ে পুষ্টিগুণ ধরে রাখাঃ খাবার অতিরিক্ত রান্না করলে তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করার পাশাপাশি সবজি, মাছ এবং মাংস যতটা সম্ভব অল্প সময় রান্না করতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার প্রস্তুত করতে তেল ও মসলার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
খাদ্য উপাদানের প্যাকেটের মেয়াদ যাচাইঃ যেকোনো প্যাকেটজাত খাবার ব্যবহারের আগে মেয়াদের যাচাই করা উচিত। পুরানো বা মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এছাড়া প্যাকেটের সঠিকভাবে সিল করা আছে কিনা তা যাচাই করার জরুরী।
পরিবেশবান্ধব উপাদান ব্যবহারঃ প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাঁচ বা স্টিলের পাত্রে খাবার সংরক্ষণ করতে হবে এবং এটি শুধু পরিবেশের জন্য ভালো নয় খাবারের স্বাস্থ্যকর গুণাবলী ও বজায় রাখে এবং এ ছাড়া খাবারের গন্ধ বা রং পরিবর্তন হওয়া থেকে এটি রক্ষা করে।
শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন
শিশুরা সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে এবং সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে তাদের শরীর জীবাণু ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। এই কারণে শিশুদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনেক দরকার নিয়মিত হাত দেওয়ার অভ্যাস শিশুরা ইনফেকশন ও ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলাঃ শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানে শুধু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নয় বরং খাবার পরিষ্কার করে খাওয়াও। যেমন খাবারের আগে উপরে হাত ধোয়া, তাজা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। এ অভ্যাস পরবর্তীতে তাদের জীবনের সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক হয়।
আরো পড়ুনঃ হলুদ গাছের ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা
স্কুল ও সামাজিক পরিবেশে সংক্রমণ এড়ানোঃ শিশুরা স্কুল বা খেলার মাঠে বেশি সময় কাটা এবং যেখানে জীবাণু সংক্রমনের ঝুঁকি বেশি থাকে। স্বাস্থ্যবিধে মানার মাধ্যমে তারা সহজে সর্দি কাশি চামড়ার রোগ বা অন্যান্য সংক্রমক থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারে।
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব শেখানোঃ শিশুরা ছোটবেলা থেকে যদি ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে শিক্ষা পায় তা তাদের জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কাজে আসবে। নিয়মিত গোসল এবং তার জামা কাপড় পড়া এবং নখ কাটা এসব অভ্যাস তাদের সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভূমিকাঃ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ শিশুদের মনোবল এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্যবিধি মানলে শিশুরা রোগ বালাইয়ের চিন্তা মুক্ত থাকে এবং তারা খেলাধুলা বা পড়াশোনায় বেশি মনোযোগ দিতে পারে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরিঃ শিশুরা যা দেখে শিখে বড় হয় তাই তারা অনুসরণ করে। ছোটবেলা থেকে স্বাস্থ্যবিধে মেনে চলার অভ্যাস তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে পরিবার ও সমাজের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এভাবে তারা সুস্থ প্রজন্ম গড়ার অংশ হতে পারবে।
অফিস এবং পাবলিক প্লেসে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রয়োজনীয়তা
অফিসে কাজের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর না হলে এটি দ্রুত রোগের বিস্তার ঘটাতে পারে। কর্মচারীদের মধ্যে সর্দি কাশি বা অন্যান্য সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত হাত ধোয়া এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বজায় রাখা আর টেবিল বা কম্পিউটার পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। অফিসের কিচেন বা খাবার জায়গা গুলো জীবাণু মুক্ত রাখা এবং খাবার গ্রহণের পরে পরিষ্কার করা কর্মীদের সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পাবলিক প্লেস যেমন বাজার, গণপরিবহন বা পার্কে জীবাণু সংক্রমনের বেশি ঝুঁকি থাকে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে এই ঝুঁকি কমানো সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ মাস্ক ব্যবহার এবং সেনিটাইজার দিয়ে আর পরিষ্কার করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়া পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।
অফিস এবং পাবলিক প্লেসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা শুধু ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য নয় বরং এটি সামাজিক দায়িত্ব। এক ব্যক্তির সাবধান না থাকার জন্য অন্যদের জীবাণু সংক্রমণের শিকার করতে পারে। তাই সবার সুস্থতা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আবশ্যক। এটি শুধু কর্মদক্ষতা বাড়ায় না বরং সমাজে সুস্থ ও সুরক্ষিত পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করে।
লেখক এর মন্তব্য
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন কেন, এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল আপনার জন্যই। এখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা এখান থেকে জানতে পারবেন বিস্তারিত।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি আরো পড়তে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
পদ্মাম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url