যেভাবে পিপল পার আওয়ারে কাজ করবেন

যেভাবে পিপল পার আওয়ারে কাজ করবেন, এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের আর্টিকেলে আমরা পিপল পার আওয়ারে কিভাবে কাজ করতে হয় এবং ক্লায়েন্টদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

যেভাবে পিপল-পার আওয়ারে-কাজ করবেন

এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে আমরা পিপল পার আওয়ার ক্লাইন্টের কাছ থেকে কিভাবে কাজ বুঝে নিতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নিন পিপল পার আওয়ার কাজের উপায় গুলো কি কি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ যেভাবে পিপল পার আওয়ারে কাজ করবেন জেনে নিন

যেভাবে পিপল পার আওয়ারে কাজ করবেন

যেভাবে পিপল পার আওয়ারে কাজ করবেন, পিপল পার আওয়ার একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্ট একত্রিত হয়ে প্রজেক্ট সম্পন্ন করে এবং পিপল পার আওয়ারে সফলভাবে কাজ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট এবং পদক্ষেপ জানা জরুরী নিচে এই নিয়ে আলোচনা করা হলো।
  • পিপল পার আওয়ারে প্রোফাইল তৈরি আপনার পরিচয় এবং দক্ষতার প্রতিচ্ছবি। প্রোফাইল তৈরি করার সময় আপনার নাম অভিজ্ঞতা দক্ষতা এবং পোর্টফোলিও যুক্তকরণ এবং প্রোফাইলের বায়ো বিভক্তি আকর্ষণীয় করে অনুপ্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন যাতে ক্লায়েন্ট সহজে আপনাকে আপনার প্রোফাইলে খুঁজে পান এবং প্রোফাইল ছবির মান ভালো রাখুন এবং আপনার কাজের ধরন স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।
  • পিপল পার আওয়ার এ কাজ করার জন্য উপযুক্ত প্রজেক্ট নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্ল্যাটফর্মের প্রতিদিন নতুন প্রজেক্ট পোস্ট করা হয় এবং সেগুলোর মধ্যে আপনার দক্ষতার সঙ্গে মিল থাকা প্রজেক্টগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং সঠিকভাবে ফিল্টার ব্যবহার প্রজেক্ট খোঁজা এবং আপনার বাজেট ও দক্ষতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কাজের জন্য বিড করুন
  • ক্লায়েন্টদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য। প্রফেশনাল এবং কাস্টমাইজ প্রপোজাল লিখুন। প্রপোজালে প্রজেক্ট এর উদ্দেশ্য আপনার কাজ করার প্রযুক্তি এবং পদ্ধতি এবং কেন আপনি কাজের জন্য উপযুক্ত তা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করুন। ক্লায়েন্টের সমস্যার সমাধান দেওয়ার পরিকল্পনা এবং সময় মত কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং প্রপোজাল সংক্ষিপ্ত ও প্রাসঙ্গিক রাখুন।
  • পিপল পার আওয়ারে কাজের জন্য সঠিক রেট নির্ধারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং রেট খুব বেশি বা কম রাখলে ক্লায়েন্টদের সাথে সমন্বয় করা কঠিন হতে পারে এবং আপনার দক্ষতা অভিজ্ঞতা আর কাজও ধরণ অনুযায়ী রেট ঠিক করুন এবং শুরুতে কম রেট দিয়ে কাজ শুরু করলে আপনি সহজে ক্লায়েন্ট পেতে পারেন এবং পরবর্তীতে অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রেট বাড়াতে পারেন।
  • ক্লায়েন্টের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য তাদের সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগ করুন এবং কাজ শুরু করার আগে ক্লায়েন্টের চাহিদা এবং নির্দেশাবলী ভালোভাবে বুঝে নিন। কাজ চলাকালীন সময়ে নিয়মিত আপডেট দিন এবং কোন অস্পষ্টতা থাকলে ক্লায়েন্টের সঙ্গে আলোচনা করুন এবং ভালোভাবে যোগাযোগ ক্লায়েন্টের আস্থা বাড়ায় এবং ভবিষ্যতে আরও কাজ পাওয়ার সুযোগ তৈরি করেন।
  • পিপল পার আওয়ারে সফলতা এর অন্যতম চাবিকাঠি হল নির্ধারিত সময়ে মানসম্মত কাজ জমা দেওয়া এবং ক্লায়েন্টের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তাদের কাজ শেষ করার দিন এবং তার রক্ষা করুন না পারেন তবে ক্লাইন্টকে আগেভাগে জানিয়ে দিন এবং মানসম্মত কাজ জমা দিলে ক্লায়েন্টরা সন্তুষ্ট হয় এবং ইতিবাচক রিভিউ দিয়ে আপনার কাজ করার সম্ভাবনা তৈরি করে।

পিপল পার আওয়ারে প্রোফাইল তৈরি ও সাজানো

যেভাবে পিপল পার আওয়ারে কাজ করবেন, পিপল আওয়ার সবথেকে জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম যেখানে আপনার প্রোফাইল দক্ষ ওর যোগ্যতার প্রতিচ্ছবি এবং প্রোফাইল আকর্ষণীয় এবং পেশাদার ভাবে সাজানো হলো একটি ক্লায়েন্টের সাথে আকৃষ্ট করার সহজ এবং সেই সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে প্রোফাইল তৈরির সময় সঠিক তথ্য যোগ করা এবং সেটি আকর্ষণীয় ভাবে সাজানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রোফাইলের ছবি ও শিরোনাম যুক্তঃ প্রোফাইলের প্রথম জিনিস যা ক্লাইন্টের লক্ষ্য করে তাহলে প্রোফাইল ছবি এবং শিরোনাম। একটি পেশাদার পরিষ্কার এবং উচ্চমানের ছবি ব্যবহার করতে হবে যাতে শিরোনামে আপনার প্রধান দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে হয় উদাহরণস্বরূপ আপনি একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ওয়েব ডেভেলপার বা ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট এরকম একটা স্পষ্ট শিরোনাম আপনার কাজের ধরন সম্পর্কে ক্লাইন্টকে সঠিক ধারণা দেবে।

প্রোফাইলের বায়ো সেকশনটি আকর্ষণঃ প্রোফাইলের বায়ো অংশ হলো আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা তুলে ধরার জায়গা এখানে সংক্ষিপ্ত কিন্তু তথ্যবহুল বর্ণনা দিন এবং আপনার অভিজ্ঞতা সাফল্যের গল্প সম্পূর্ণ প্রকল্প এবং ক্লায়েন্টের জন্য আপনার কি ধরনের সমাধান প্রদান করতে পারেন তাই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে এবং প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে প্রোফাইল সার্চ  র‍্যাংকে উপরে থাকবে।

দক্ষতার উপর তালিকা তৈরিঃ পিপল পার আওয়ারে আপনার প্রোফাইল সাজানোর সময় আপনার দক্ষতা গুলো নির্মল ভাবে তালিকাভুক্ত করতে হবে এবং দক্ষতার তালিকা তৈরি করার সময় তা আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী সাজাতে হবে উদাহরণস্বরূপ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনার এবং এসিও অপটিমাইজেশন ইত্যাদি দক্ষতা আপনার আছে এগুলো যোগ করলে ক্লায়েন্ট সহজেই আপনার প্রোফাইল খুজে পাবে।

পোর্টফোলিও যুক্ত করাঃ প্রোফাইলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো পোর্টফোলিও এখানে আপনার পূর্বের কাজের নমুনা যোগ করতে হবে এবং যদি আপনি ওয়েব ডিজাইনার হন তবে আপনার তৈরি করা ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট বা লিংক যুক্ত করুন এবং পোর্টফোলিও তে প্রতিটি কাজের প্রজেক্ট এর জন্য একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিন যা ক্লাইন্টকে বুঝতে সাহায্য করবে।

সঠিক ক্যাটাগরি এবং রেট নির্ধারণঃ আপনার কাজের ধরন এবং অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সঠিক ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে এবং পিপল পার আওয়ার প্রোফাইলের রেট সেট করার সময় বাজারের বর্তমান চাহিদা এবং আপনার দক্ষতা তুলনা করুন এবং শুরুতে কম রেট দিয়ে শুরু করতে পারেন তবে ক্লায়েন্ট দের রিভিউ এবং রেটিং পেলে রেট বাড়িয়ে দিতে পারেন।

প্রোফাইল রিভিউ এবং আপডেটঃ আপনার প্রোফাইল সময়ে সময়ে রিভিউ এবং আপডেট করা জরুরী এবং নতুন দক্ষতা অর্জন করলে তা প্রোফাইলে যোগ করতে হবে এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য হালনাগাদ করতে হবে এবং ক্লায়েন্টদের রিভিউ আর ফিডব্যাক পেলে সেটি প্রোফাইলে যোগ করতে হবে এবং একটি হালনাগাদ প্রোফাইল ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার পেশাদারিত্বের প্রমাণ।

পিপল পার আওয়ারে সেরা প্রজেক্ট খোঁজার উপায়

যেভাবে পিপল পার আওয়ারে কাজ করবেন, পিপল পার আওয়ার একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে কাজের সুযোগ খুঁজে পাওয়ার সহজ উপায় হলেও প্রতিযোগিতার কারণে সঠিক কৌশল জানা জরুরী এবং প্রোজেক্ট খুঁজে পেতে আর ক্লায়েন্টের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য কিছু বিশেষ উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে নিচে নিয়ে আলোচনা করা হলো।

সাব-ক্যাটাগরি নির্বাচন করাঃ পিপল পার আওয়ারে কাজ খোঁজার সময় সঠিক ক্যাটাগরি এবং সাব-ক্যাটাগরি নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার দক্ষতা অনুযায়ী ক্যাটাগরি বাছাই করতে হবে এবং ফিল্টার ব্যবহার করে নির্দিষ্ট প্রজেক্ট গুলো সহজেই বের করুন খুঁজে এবং সঠিক ক্যাটাগরি নির্বাচন করলে প্লাটফর্মের এলগারিদম আপনার জন্য প্রাসঙ্গিক প্রজেক্ট প্রদর্শন করবে।

প্রোফাইল হাইলাইট করুনঃ আপনার প্রোফাইল যতটা আকর্ষণীয় হবে ততটা ক্লায়েন্টের আপনাকে প্রোজেক্টের জন্য বাছাই করে নিবে। আপনার প্রোফাইলে দক্ষতা পোর্টফোলিও এবং রিভিউ তুলে ধরুন এবং আকর্ষণীয় পেশাদার প্রোফাইল থাকার কারণে ক্লাইন্টরা সরাসরি আপনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে দিতে পারে প্রজেক্ট এর জন্য।

বিড করার সময় স্পষ্ট প্রপোজালঃ ক্লায়েন্টদের প্রজেক্ট এর জন্য বিড করার সময় একটি কাস্টমাইজ প্রপোজাল লিখতে হবে এবং প্রপোজাল এ তাদের চাহিদা এবং প্রযুক্তির উদ্দেশ্য বুঝিয়ে দিতে হবে এবং আপনার দক্ষতার সঙ্গে কিভাবে কাজটি মিলে যাবে এবং কেন আপনি সেরা পছন্দ তা প্রপোজালে উল্লেখ করতে হবে এবং এটি প্রপোজাল ক্লায়েন্টদের চাহিদা অনুযায়ী আলাদাভাবে তৈরি করতে হবে।

ফ্রেশ প্রজেক্টে দ্রুত বিড করুনঃ পিপল পার আওয়ারে নতুন পোস্ট হওয়া প্রজেক্ট গুলোতে দ্রুত বিড করুন এবং পোস্ট প্রজেক্ট হওয়ার প্রথম কয়েক মিনিটেই ক্লায়েন্টরা বিড গুলো পর্যালোচনা শুরু করে এবং ফ্রেশ প্রজেক্টে দ্রুত বিড করলে কাজ পাওয়া সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং এর জন্য নিয়মিত প্ল্যাটফর্মটি পর্যবেক্ষণ করুন।

কম্পিটিটিভ রেড অফারঃ প্রজেক্টে বিড করার সময় আপনার রেট কম্পিটিটিভ রাখুন এবং খুব কম বেশি রেট দিলে ক্লায়েন্টদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে এবং শুরুতে আপনার দক্ষতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রেট নির্ধারণ করুন এবং কাজ পাওয়ার পর ইতিবাচক রিভিউ এবং রেটিং পেলে বাড়িয়ে ফেলতে পারেন রেট।

রিভিউ এবং রেটিং উন্নতঃ পিপল পার আওয়ারে কাজ পেতে রিভিউ এবং রেটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং প্রতিটি প্রজেক্ট নির্ধারিত সময়ে মানসম্মতভাবে সম্পূর্ণ করতে হবে এবং ক্লাইন্টের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে এবং ভালো রিভিউ এবং রেটিং পেলে ক্লায়েন্টরা ভবিষ্যতে আপনাকে প্রোজেক্টের জন্য বেছে নেবে।

পিপল পার আওয়ারে প্রফেশনাল প্রোপোজাল লিখা

যেভাবে পিপল পার আওয়ারে কাজ করবেন, পিপল পার আওয়ারে সফলভাবে কাজ পেতে একটি পেশাদার প্রপোজাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি ক্লাইন্টকে আপনার দক্ষতা এবং প্রজেক্টের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেয় এবং ভালোভাবে প্রোপোজাল ক্লাইন্টদের আকর্ষণ করার এবং প্রতিযোগিতার থেকে নিজেকে আলাদা করার অন্যতম হাতিয়ার নিচেই নিয়ে কয়েকটি আলোচনা করা হলো।

ক্লায়েন্টের চাহিদা বোঝাঃ প্রপোজাল লিখার আগে ক্লায়েন্টের চাহিদা এবং প্রজেক্ট এর বিবরণ গভীরভাবে বোঝা জরুরী এবং প্রোজেক্টের উদ্দেশ্য সময়সীমা এবং কি ধরনের সমাধান করছেন তা বিশ্লেষণ করতে হবে এবং প্রপোজাল স্পষ্ট করে দেখান যে আপনি তাদের প্রয়োজনীয়তা ভালোভাবে বুঝেছেন এবং সেই অনুযায়ী সমাধান দিতে প্রস্তুত।
যেভাবে পিপল-পার আওয়ারে-কাজ করবেন
ব্যক্তিগতকৃত প্রপোজাল লেখাঃ একটি প্রপোজাল কখনোই জেনেটিক হওয়া উচিত নয় এবং প্রতিটি প্রজেক্ট এর জন্য আলাদাভাবে প্রপোজাল তৈরি করতে হবে এবং ক্লায়েন্টের নাম বা কোম্পানির নাম উল্লেখ করে লিখতে হবে এবং এটি ক্লায়েন্টকে বোঝায় যে আপনি প্রজেক্টটি নিয়ে যত্নবান এবং আপনার তাদের জন্য সময় ব্যয় করছেন।

দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা তুলে ধরাঃ প্রোপজলে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা এমনভাবে উপস্থাপন করুন যাতে প্রজেক্টের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত হয় এবং উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য বিড করেন তবে সম্পূর্ণ পূর্বে করা প্রজেক্ট এর উদাহরণ উল্লেখ করুন এবং যদি আপনার প্রাসঙ্গিক পোর্টফোলিও থাকে তবে তার লিংক যুক্ত করুন।

সমাধান কেন্দ্রিক প্রস্তাবনাঃ প্রপোজালের মূল বিষয় হওয়া উচিত ক্লায়েন্টের সমস্যার কার্যকর সমাধান এবং প্রজেক্টে কিভাবে আপনি সম্পূর্ণ করবেন তার জন্য একটি সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা লিখুন এবং উদাহরণস্বরূপ আমি প্রথমে আপনার চাহিদা বিশ্লেষণ করবো এবং তারপর একটি কাস্টম সমাধান তৈরি করব এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরবরাহ করব এবং এই ধরনের লিখন ক্লাইন্টকে আস্থা দেয়।

পরিষ্কার এবং প্রফেশনাল ভাষা ব্যবহারঃ প্রপোজাল লেখার সময় সংক্ষিপ্ত পরিস্কার এবং প্রফেশনাল ভাষা ব্যবহার করতে হবে এবং জটিল শব্দ বা দীর্ঘ বাক্য এড়িয়ে চলতে হবে গ্রামার এবং অন্যান্য বানান নির্ভুল হাওয়া আবশ্যক কারণ এটি আপনার পেশাদারিত্বের প্রতিচ্ছবি।

সময় এবং বাজেট স্পষ্টঃ প্রোপোজালের সময়সীমা এবং বাজেট স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে এবং ক্লাইন্টকে জানিয়ে দিন যে আপনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করতে পারবে এবং বাজেটের ক্ষেত্রে বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেট প্রস্তাব করুন এবং স্পষ্ট সময় এবং বাজেট উল্লেখ করলে ক্লায়েন্টদের আস্থা অর্জন করা সহজ হয়।

পিপল পার আওয়ারে রেট সেট সঠিক পদ্ধতি

পিপল পার আওয়ার এর সঠিক রেট সেট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা এবং আয়ের উপর সরাসরি প্রবাসকাল এবং রেট খুব বেশি বা কম হলে ক্লায়েন্টের আস্থা নষ্ট হতে পারে এবং সঠিক পদ্ধতিতে রেট নির্ধারণ করলে আপনি ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে এবং নায্য উপার্জন নিশ্চিত করতে পারবেন এই নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।

বাজারের মূল্যঃ পিপল পার আওয়ারে রেট সেট করার আগে বাজারের গড় মূল্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং একই কাজের জন্য অন্যান্য ফ্রিল্যান্সাররা কি রেট নিচ্ছেন তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং আপনি যেসব কাজ করবেন সেগুলোর প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণ করে সেট করতে হবে এবং আপনার রেট কে বাস্তবসম্মত এবং ক্লায়েন্টদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলে।

দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বিবেচনাঃ আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে রেট নির্ধারণ করুন এবং যদি আপনি নতুন হন তবে তুলনামূলক কম রেটে কাজ শুরু করতে পারেন এবং তবে যদি আপনার অভিজ্ঞতা এবং পোর্টফোলিও সমৃদ্ধ হয় তবে উচ্চ রেট নির্ধারণ করাই উপযুক্ত এবং দক্ষতা অনুযায়ী রেট নির্ধারণ করা ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার যোগ্যতার প্রতিচ্ছবি হয়।

কাজের সময় এবং পরিশ্রম মূল্যায়নঃ আপনার প্রতিটি কাজের সময় এবং পরিশ্রমের হিসাব করতে হবে এবং কাজটি শেষ করতে কত সময় লাগবে এবং এর জন্য কি ধরনের দক্ষতা প্রয়োজন তা বিবেচনা করে রেট সেট করতে হবে এবং বড় বা জটিল প্রকল্পের জন্য বেশি রেট এবং ছোট বা সহজ কাজের জন্য কম রেট নির্ধারণ করতে হবে।

প্রজেক্ট এর চাহিদা অনুযায়ী রেটঃ প্রতিটি প্রজেক্ট এর চাহিদা আলাদা হতে পারে এবং নির্দিষ্ট প্রজেক্ট এর জন্য কি ধরনের দক্ষতা এবং সময় প্রয়োজন তা মূল্যায়ন করে রেট নির্ধারণ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ একটি দ্রুত ডেলিভারির প্রয়োজন হলে আপনি রেট বাড়াতে পারেন এবং এটি ক্লায়েন্টকে দেখায় যে আপনি প্রজেক্ট এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন।

নমনীয়তার জন্য রেঞ্জ নির্ধারণঃ সুনির্দিষ্ট রেট নির্ধারণের পরিবর্তে একটি রেঞ্জ তৈরি করুন উদাহরণস্বরূপ ২০ থেকে ৩০ডলার ঘণ্টা প্রতি এরকম রেঞ্জ উল্লেখ করলে ক্লায়েন্টরা সহজে তাদের বাজেটের মধ্যে আপনার সেবা নিতে আগ্রহী হবে এবং এটি আপনাকে বেশি ক্লায়েন্টের সাথে কাজের সুযোগ দেয়।

প্রাথমিক কাজের জন্য ডিসকাউন্ট অফারঃ যদি আপনি নতুন ফ্রিল্যান্সার হন তাহলে প্রাথমিক কিছু কাজের জন্য ডিসকাউন্ট দিতে পারেন এবং এটি আপনাকে রিভিউ এবং রেটিং পেতে সাহায্য করবে যা ভবিষ্যতে উচ্চ রেট নির্ধারণে সহায়ক হবে তবে নিশ্চিত করুন যে ডিসকাউন্ট দেওয়া এর সময় ও আপনার সময় এবং পরিশ্রমের ন্যায্যমূল্য মিলছে।

পিপল পার আওয়ারে ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট পোর্টফোলিও

পিপল পার আওয়ারে ক্লাইন্ট আকৃষ্ট করতে পোর্টফোলিও হল আপনার অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার। এটি আপনার দক্ষতা অভিজ্ঞতা এবং কাজের মান প্রদর্শনের একটি কার্যকর মাধ্যমে এবং একটি আকর্ষণীয় এবং পেশাদার পোর্টফোলিও ক্লায়েন্টের নজর কারে এবং আপনাকে প্রতিযোগিতার মধ্যে এগিয়ে রাখে এবং নিচে পোর্টফোলিও তৈরি ও সাজানোর কয়েকটি কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো।

পেশাদার এবং পরিচ্ছন্ন ডিজাইন ব্যবহারঃ আপনার পোর্টফোলিওর ডিজাইন হতে হবে পেশাদার এবং ব্যবহার বান্ধব যা ক্লায়েন্ট যেন সহজেই আপনার কাজ এবং তথ্য খুঁজে পেতে পারে এবং অতিরিক্ত জটিলতা এরিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন এবং সংঘটিত বিন্যাসে পোর্টফলিও সাজানো এবং ছবি গ্রাফিক্স এবং টেক্সটের মধ্যে ভারসাম্য রাখুন।
সেরা কাজগুলি প্রদর্শনঃ পোর্টফোলিও তে সব কাজ যুক্ত করার দরকার নেই শুধুমাত্র আপনার সেরা এবং প্রাসঙ্গিক কাজগুলি প্রদর্শন করতে হবে এবং ক্লায়েন্ট এর প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার অভিজ্ঞতার সেরা উদাহরণ তুলে ধরতে হবে এবং প্রতিটি কাজের সাথে সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং আপনার আবেদন উল্লেখ করতে হবে।

কাস্টমাইজ সেকশন যুক্তঃ পোর্টফোলিওতে কাস্টমার সেকশন যুক্ত করতে হবে এবং সেখানে ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী কাজের উদাহরণ থাকবে এবং উদাহরণস্বরূপ যদি আপনি ডিজাইন লেখা এবং ডেভেলপমেন্টের কাজ করেন তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে জন্য আলাদা সেকশন তৈরি করতে হবে এবং এটি ক্লায়েন্টকে দেখায় যে আপনি তাদের প্রয়োজন বুঝতে সক্ষম।

ফলাফল এবং অর্জনঃ পোর্টফোলিওতে আপনার কাজের ফলাফল এবং অর্জন তুলে ধরতে হবে এবং উদাহরণস্বরূপ আমার ডিজাইন করা ওয়েবসাইট ৫০% বেশি ভিজিটর আকর্ষণ করেছে এবং এ ধরনের পরিসংখ্যান ক্লায়েন্টদের আস্থা বাড়ায় এবং অর্জিত পুরস্কার প্রশংসাপত্র বা গুরুত্বপূর্ণ রিভিউ উল্লেখ করতে হবে।

মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট ব্যবহারঃ শুধু টেক্সটের ওপর নির্ভর না করে ছবি ভিডিও এবং প্রেজেন্টেশন যুক্ত করতে হবে এবং একটি ইন্টারেক্টিভ পোর্টফোলিও ক্লায়েন্টদের আরো আকৃষ্ট করে এবং উদাহরণস্বরূপ একটি ভিডিওতে আপনার কাজের প্রক্রিয়া দেখানো যেতে পারে যা আপনার দক্ষতা এবং পেশাদারিত্ব তুলে ধরে।

রেগুলার আপডেট এবং রিভিউঃ আপনার পোর্টফলিও নিয়মিত আপডেট করতে হবে এবং নতুন কাজ যোগ করতে হবে এবং পুরানো এবং অপ্রাসঙ্গিক কনটেন্ট ছড়িয়ে ফেলতে হবে এবং ক্লায়েন্টদের ফিডব্যাক এবং নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পোর্টফলিও আপগ্রেড করতে হবে এবং এটি দেখায় যে আপনি সর্বদা আধুনিক এবং আপটুডেট।

পিপলপার আওয়ারে সময় ব্যবস্থাপনা

পিপল পার আওয়ারে কাজ করার সময় সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা আপনার সাফল্যের চাবিকাঠি এবং সময় সঠিকভাবে কাজে লাগালে আপনি বেশি প্রকল্প কাজ করতে পারবেন এবং ক্লায়েন্টদের সন্তুষ্ট রাখতে পারবেন এবং নিচে পিপল পার আওয়ারে সময়ের ব্যবস্থাপনা এর গুরুত্ব নিচে তুলে ধরা হলো।

কাজের তালিকা তৈরিঃ একটি কাজের তালিকা তৈরি করতে হবে এবং যেখানে আপনার সব কার্যক্রম সুনির্দিষ্ট লিপিবদ্ধ থাকবে এবং কোন কাজ আগে করবেন এবং কোনটা পরে করবেন এবং তার একটি পরিকল্পনা করতে হবে তালিকাটি প্রতিদিনের ভিত্তিতে আপডেট করতে হবে এবং এটি আপনাকে সময় মতো কাজ শেষ করতে এবং অপ্রয়োজনীয় সময় অপচয় এড়াতে সাহায্য করবে।

সময়ের নির্ধারিত সীমা স্থাপনঃ প্রতিটি কাজের জন্য একটি নির্ধারিত সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে এবং উদাহরণস্বরূপ যদি একটি প্রজেক্টে পাঁচদিন সময় লাগে তবে কাজ ভাগ করে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় তা শেষ করতে হবে এবং নির্ধারিত সময় মত কাজ শেষ করলে ক্লায়েন্টদের আস্থা অর্জন করা সহজ হবে।

গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আগে সম্পন্নঃ সময় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর জটিল কাজগুলো শেষ করতে চেষ্টা করতে হবে এবং এভাবে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর চাপ কমে এবং সময় মত ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব হয়।

বিরতি নিয়ে কাজঃ টানা কাজ করলে উৎপাদনশীলতা কমে যেতে পারে তাই নির্দিষ্ট সময় কাজ করার পর বিরতি নিন এবং উদাহরণস্বরূপ প্রমোডোর পদ্ধতি 25 মিনিট কাজ এবং পাঁচ মিনিট বিরতি ব্যবহার করতে পারেন এবং এটি মানসিক চাপ কমায় এবং কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ায়।

প্রযুক্তি এবং টুলস ব্যবহারঃ সময় ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন টুল এবং সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন উদাহরণস্বরূপ গুগল ক্যালেন্ডার এবং ট্রিলো এবং আসানা ব্যবহার করে কাজের অগ্রগতি ট্র্যাক করতে পারেন এবং এগুলো আপনাকে সময় মতো কাজ সম্পন্ন করতে এবং একাধিক প্রজেক্ট পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।

ডেড লাইন মেনে চলার অভ্যাসঃ ডেড লাইন মেনে কাজ করা পেশাদারিত্বের পরিচয় দেয় এবং প্রতিটি কাজের ডেডলাইন আগে থেকে নির্ধারণ করে তা মেনে চলতে হয় এবং যদি কোন কারনে ডেড লাইন পূরণ করা সম্ভব না হয় তাহলে ক্লায়েন্টকে আগে থেকে জানিয়ে সময় বৃদ্ধি করার অনুরোধ করুন।

পিপল পার আওয়ারে পেমেন্ট সুরক্ষিত

পিপল পার আওয়ার ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টদের জন্য একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম তবে এই প্লাটফর্মে পেমেন্ট সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ফ্রিল্যান্সাররা অনেক সময় পেমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতার সম্মুখীন হন বা তাদের আয় এবং সময়ের ক্ষতি করতে পারে এবং এর জন্য সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত তা নিয়ে নিজে আলোচনা করা হলো।

ক্রসক্রো সিস্টেম ব্যবহার করাঃ পিপল পার আওয়ারে ক্রসক্রো সিস্টেম ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লাইন্ট উপার্জনের জন্য একটি সুরক্ষিত পেমেন্ট পদ্ধতি এবং এখানে ক্লায়েন্ট যখন একটি প্রজেক্ট এর জন্য অগ্রিম পেমেন্ট করে এবং এটি ক্রসক্রোতে সুরক্ষিত থাকে এবং কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ক্লায়েন্ট কাজ অনুমোদন করলে পেমেন্ট ফ্রিল্যান্সারের কাছে পৌঁছে যায় এবং এটি পেমেন্ট সংক্রান্ত ঝুঁকি কমায়।
যেভাবে পিপল-পার আওয়ারে-কাজ করবেন
নির্ধারিত প্ল্যাটফর্মের বাইরে লেনদেনঃ পিপল পার আওয়ারে এর বাইরে পেমেন্ট গ্রহণ করা একটি বড় ঝুঁকি হতে পারে এবং অনেক সময় ক্লায়েন্টরা প্ল্যাটফর্মের বাইরে কাজ করতে বলে যা নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর এবং প্লাটফর্মের পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করলে আপনার লেনদেনের নিশ্চয়তা থাকে এবং যেকোন সমস্যায় সমাধানের সুযোগ থাকে।

কাজ শুরু করার আগে ক্রসক্রো নিশ্চিতঃ কোন প্রজেক্ট শুরু করার আগে নিশ্চিত করতে হবে যে ক্লায়েন্ট পেমেন্ট ক্রসক্রোতে জমা করেছে এবং এটি আপনাকে নিশ্চিত করবে যে ক্লায়েন্ট পেমেন্ট দিতে প্রস্তুত এবং কাজ শেষে পেমেন্ট পাবেন। যদি ক্লায়েন্ট পেমেন্ট জমানো করে তবে কাজ শুরু করবেন না।

পরিষ্কার শর্তাবলী এবং চুক্তিঃ কাজ শুরু করার আগে ক্লায়েন্টের সঙ্গে পরিষ্কার শর্তাবলী এবং চুক্তি তৈরি করতে হবে এবং কাজের পরিধি সময়সীমা এবং পেমেন্ট সম্পর্কে স্পষ্ট আলোচনা করতে হবে এবং এটি কোন রকম ভুল বুঝাবুঝি এড়াতে সাহায্য করবে এবং পেমেন্ট সম্পর্কিত তার সম্ভাবনা কমাবে।

ক্লায়েন্টের রিভিউ এবং রেটিংঃ প্রজেক্ট গ্রহণের আগে ক্লায়েন্টের রিভিউ এবং রেটিং পরীক্ষা করুন এবং উচ্চ রেটিং এবং ইতিবাচক রিভিউ থাকা ক্লাইন্টরা সাধারণত নির্ভরযোগ্য হয় এবং নতুন বা কম রেটিং যুক্ত ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করার সময় সতর্ক থাকুন।

পিপল পাওয়ার আওয়ারে ক্লায়েন্টের সঙ্গে সম্পর্ক

পিপল পার আওয়ারে কাজের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের সঙ্গে পেশাদার সম্পর্ক গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রথমে ক্লায়েন্টের প্রয়োজন এবং কাজের বিবরণ ভালোভাবে বুঝতে হবে এবং পরিষ্কারভাবে প্রশ্ন করে তাদের ধরন এবং লাইন আর অন্য প্রয়োজনীয়তার নিশ্চিত করতে হবে এবং এটি পেশাদার ও চিত্র উপস্থাপন করতে সময়মতো মেসেজের জবাব দিতে হবে এবং মানসম্মত ভাষায় বজায় রাখতে সাহায্য করবে ও যোগাযোগ রাখতে হবে।

ক্লায়েন্টের সঙ্গে বিশ্বাস তৈরি করতে সময় মতো এবং মানসম্মত কাজ ডেলিভার করতে হবে এবং কাজের প্রতিটি ধা বা আপডেট দিতে হবে এবং ক্লাইন্ট এর ফিডব্যাক গ্রহণ করতে হবে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে পারলে তারা সন্তুষ্ট হবে এবং ভবিষ্যতে পুনরায় কাজের জন্য আপনাকে বেছে নেবে এবং গুণমানের সঙ্গে কাজ সম্পন্ন করে ক্লায়েন্ট এ দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব হবে।

ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজের সময় যদি কোন সমস্যা হয় তা দ্রুত সমাধানের জন্য উদ্বেগ নিতে হবে এবং সমস্যাগুলোর জন্য ক্লাইন্টকে দোষারোপ না করে সমাধান মূলক দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে হবে উদাহরণস্বরূপ যদি ডেলিভারির সময় কিছু পরিবর্তন হয় প্রয়োজন হয় তা ক্লায়েন্টকে জানিয়ে দিতে হবে এবং সমাধান প্রস্তাব করতে হবে এবং এ ধরনের পদ্ধতি আপনার পেশাদারিত্ব ও বিশ্বস্ততা বাড়ায়।

আমাদের শেষ কথা

যেভাবে পিপল পার আওয়ারে কাজ করবেন, এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করে পিপল পার আওয়ার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি পিপল পার আওয়ার এর কাজ সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল আপনার জন্যই এবং এখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু পিপল পার হওয়ার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা এখান থেকে জানতে পারবেন বিস্তারিত।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি আরও পড়তে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মাম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url