মেনোপজ কি কেন হয় ও ৭টি লক্ষন
মেনোপজ কি কেন হয় ও লক্ষন এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মেনোপজ এর লক্ষণ এবং কেন হয় এ সম্পর্কে আলোচনা করব।
এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে মেনোপজ এর প্রতিকার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নিই মেনোপজ এর লক্ষণ গুলো কি কি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ মেনোপজ কি কেন হয় ও ৭টি লক্ষন সমগ্র
মেনোপজ কি কেন হয়
মেনোপজ কি কেন হয় ও লক্ষন, মেনোপজ হলো নারীর জীবনে এমন একটি পর্যায় যখন তার মাসিক ঋতুস্রাব স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং এটি সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বয়সের মধ্যে ঘটে তবে কিছু মহিলার ক্ষেত্রে এটি আগে বা পরে হতে পারে এবং মেনোপজকে সাধারণত নারীর প্রজনন সক্ষমতার শেষ চিহ্ন হিসেবে গণ্য করা হয় এবং মেনু পথ হওয়ার প্রক্রিয়াটি ধীরে ধীরে ঘটে এবং এটিকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয় যেমন প্রিমেনোপজ এবং পেরিমেনোপজ এবং পোস্টমনোপজ। এই কারণ সম্পর্কে নিচে ব্যাখ্যা করা হলো।
প্রাকৃতিক বয়স জনিত পরিবর্তনঃ মেনোপজ নারীদের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে স্বাভাবিকভাবে ঘটে যা ডিম্বাশয় এর কার্যক্রমের শেষ পর্ব এবং ডিম্বাশয় ধীরে ধীরে ডিম্বাণু উৎপাদন বন্ধ করে দেয় এবং এই পরিবর্তনের ফলে শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টরনের মাত্রা হ্রাস পায় এবং এই হরমোনের ঘাটতি মনোপজের প্রধান কারণ।
হরমোনের পরিবর্তনঃ মেনোপজ হরমোনের বড় পরিবর্তন হয় ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা ধীরে ধীরে হ্রাস পায় যা নারীদের শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই হরমোন গুলোর ঘাটতি হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস এবং মেজাজ পরিবর্তন হতো শুষ্কতার মত সমস্যা তৈরি করে।
জেনেটিক কারণঃমেনোপজ এর সময়কাল কিছুটা জেনেটিক হওয়ার উপর নির্ভরশীল করতে পারে এবং যদি মায়ের মেনোপজ দ্রুত ঘটে থাকে তবে মেয়ের ক্ষেত্রেও মেনোপজ তাড়াতাড়ি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং এটি একটি কারণ নয় তবে পারিবারিক ইতিহাস মেনোপজ এর বয়সে প্রভাব ফেলতে পারে।
মেডিকেল কারণ ও অস্ত্রোপচারঃ কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসা জনিত কারণে নারীদের ডিম্বাশয় অপারেশন করা হয় এবং তৎক্ষণিকভাবে মেনোপজের কারণ হতে পারে এবং স্তন ক্যান্সারের জন্য কে মথেরাপি এবং রেডিয়েশন এর মত চিকিৎসা হরমোন এর ভারসাম্যে প্রভাব ফেলে এবং মেনোপজের সময়কে ত্বরান্বিত করে।
লাইফস্টাইল এবং পরিবেশগত কারণঃ ধূমপান অ্যালকোহল এবং মানসিক চাপের মতো লাইফ স্টাইল সেক্টর মেনোপজ এর ঝুঁকি বারে এবং এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন এবং হরমোনের কার্যকারিতা প্রভাবিত করে এবং পর্যাপ্ত পুষ্টি ও ব্যায়াম নিয়মিত মেনোপজকে ধীর গতিতে আনতে সহায়তা করে।
মেনোপজের প্রভাবঃ মেনোপজএর সময় কিছু মানসিক লক্ষণ দেখা যায় যেমন গরম অনুভাব, রাতের ঘাম, মেজাজ পরিবর্তন উদ্যোগ এবং ঘুমের সমস্যা এছাড়া মেনোপজ হাড়ের ঘনত্ব
কম করে এবং অস্টিওপোরশিষের ঝুঁকি বাড়ায়। অনেক সময় মেনোপজ পরবর্তী সময়ে হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিয়ে বৃদ্ধি করতে পারে।
মেনোপজ এর হওয়ার লক্ষণ
মেনোপজ কি কেন হয় ও লক্ষন, মেনোপজ এর লক্ষণ গুলো মূলত শরীরের বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তনের কারণে দেখা দেয় এবং এগুলো প্রতিটি নারীর ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে এবং মেনোপজের লক্ষণগুলো সাধারণত মাসিক বন্ধ হওয়ার আগে থেকেই ধীরে ধীরে শুরু হতে থাকে এবং এই লক্ষণগুলো একটি নারীর জীবনের দৈনন্দিনতাকে অনেকাংশে প্রভাবিত করতে পারে এই নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।
অনিয়মিত মাসিক চক্রঃ মেনোপজের প্রথম ও অন্যতম লক্ষণ হল মাসিক চক্রের অনিয়মিত হয়ে যাওয়া এবং মাসিক ধীরে ধীরে বন্ধ হওয়ার আগে এটি নিয়মিত হতে শুরু করে এবং মাসিক সময়ের ব্যবধানে বেড়ে যায় বা কমে আসে এবং এই সময় অনেক ক্ষেত্রে মাসিকের পরিমাণ
কম বা বৃদ্ধি হতে পারে।
হঠাৎ শরীরে উত্তাপ অনুভব করাঃ হট ফ্ল্যাশ উত্তাপ অনুভব মেনোপজ এর আরেকটি সাধারণ লক্ষণ এবং এই অনুভূতি সাধারনত কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে এবং এর সাথে গলা মুখ ও বুকের কিছু অংশ হট ফ্ল্যাশ অনুভূতি দেখা যায় এবং হট ফ্ল্যাশের কারণে রাতে ঘুমের ব্যাঘাত করতে পারে মেনোপেজের যে সময়কার স্বাভাবিক একটি সমস্যা।
রাতের ঘাম ও ঘুমের সমস্যাঃ মেনোপজ এর সময় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তনের কারণে ঘাম দেখা দেয় এবং এ কারণে অনেকে রাতে ঘুমাতে সমস্যা অনুভব করে এবং রাতের ঘামের ফলে বিছানা অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়ে এবং অনেক সময় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে বা অবসাদগ্রস্ত কার কারণ হতে পারে।
ত্বক ও চুলে পরিবর্তনঃ ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে শুষ্ক ও রুক্ষ হতে পারে এবং চুলের ঘনত্ব কমে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে যা নারীর ক্ষেত্রে তোকে বলিয়ে রাখা দেখা দেয় এবং ত্বকের নমনীয়তা হ্রাস পায় এবং চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে এবং চুল পড়ার হাড় বেড়ে যেতে পারে যা মেনোপজ সময়ে শরীরে ঘটে যাওয়া একটি পরিবর্তন এর স্বাভাবিক লক্ষণ।
মেজাজ এর পরিবর্তন মানসিক অস্থিরতাঃ মেনোপজের সময় নারীরা মানসিক দিক থেকে বেশ কিছু পরিবর্তনের মুখোমুখি অনেক সময় হরমোন পরিবর্তনের কারণে উদ্যোগ দুশ্চিন্তা এবং মেয়েদের পরিবর্তে এবং হতাশার মতো অনুভূতি দেখা দেয় এবং কখনো কখনো এটি দীর্ঘস্থায়ী মানসিক অস্থিরতা এর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
হাড়ের ঘনত্ব হ্রাসঃ ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রায় কম থাকার কারণে মেনোপজের পর হাড়ের ঘনত্ব কমে যেতে থাকে এবং অস্টিওপেরোসিসের ঝুঁকি বাড়া এবং এ সময় হাড়ের ক্ষয় প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এবং অস্থিরতা অনুভব হতে পারে যা থেকে আর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
মেনোপজ কত বছর বয়সে হয়
মেনোপজ কি কেন হয় ও লক্ষন, মেনোপজ সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০ বছরের উপরে এ বয়সের মধ্যে ঘটে তবে এটি নারী ভেদে ভিন্ন হতে পারে ৪০ এর নিচে ৬০ এর বেশি বয়সও হতে পারে মেনোপজ সঠিক বয়স বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে পারে এখানে মেনোপজ সময়কাল নির্ধারণের প্রভাব ফেলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ তুলে ধরা হলো।
জেনেটিক প্রভাবঃ মেনোপজের বয়স অনেক ক্ষেত্রে জেনেটিক কারণে নির্ধারিত হয় এবং একজন নারীর নিকট আত্মীয়দের মেনোপজ কখন হয়েছিল তার উপর ভিত্তি করে মেনোপজ এর বয়স অনুমান করা যায় এবং জেনেটিক প্রভাবের কারণে এই সময়ে একই পরিবারের নারীদের মেনোপজ সময় কাছাকাছি হতে পারে।
পরিবেশগত প্রভাবঃ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে নারীদের বাসস্থান কাজের পরিবেশ ও তাদের পারপার্শ্বিক অবস্থা ও মেনোপজ এর সময় কালকে প্রভাবিত করতে পারে এবং পরিবেশে থাকা টক্সিকো উপাদান এবং দূষণ ডিম্বাশয় এর কার্যক্ষমতা প্রভাব ফেলে যার ফলে নারীরা নির্ধারিত বয়সের আগেই মেনোপজ পৌঁছাতে পারেন।
বংশগত শারীরিক বৈশিষ্ট্যঃ বংশগত বৈশিষ্ট্য নারীদের মেনোপজ এর বয়সও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব নারীদের মা বা দাদীর মেনুপজ শুরুর বয়স কম ছিল তাদের ওই বয়সে মেনোপজ শুরু হতে পারে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর যা পারিবারিক ইতিহাস অনুযায়ী মেনোপজ নির্ধারণের ভূমিকা রাখে।
পুষ্টির অভাব ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যের গুরুত্বঃ অপুষ্টি বা খাদ্যাভাসের ভারসাম্যের অভাব শরীরের হরমোনে পরিবর্তন আনে যা দীর্ঘমেয়াদী অপুষ্টির শিকার হন বা পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ গ্রহণ করেন না এবং তাদের মেনোপজ দ্রুত আসার সম্ভাবনা থাকে তাই স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ যা ইস্ট্রোজেন উৎপাদনে সাহায্য করে মেনুপজকে বিলম্বিত করতে সহায়তা করতে পারে।
হরমোনাল ভারসাম্যহীনতাঃ কিছু নারী হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে কম বয়সে মেনো পজে পৌছাতে পারেন যাকে প্রিম্যাচিউর মেনুপোজ বলা হয় যা হরমোনের সমস্যা গুলি প্রায়শই বয়সের আগেই মেনোপজ লক্ষণ দেখাতে পারে এবং এ কারণে চিকিৎসা বা নিয়মিত হরমোনাল চেকআপ মেনোপজের সময়কাল সম্পর্কে সচেতন থাকতে সহায়তা করে।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অবস্থাঃ বিশেষ কিছু স্বাস্থ্য পরিস্থিতি যেমন পলিসি স্টিক ওভারি সিনড্রোম বা প্রজনন অঙ্গের রোগের কারণে ডিম্বাশয় গুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয় যা মেনোপজের বয়স্কের প্রভাবিত করতে পারে এছাড়া কিছু চিকিৎসা যেমন থাইরয়েড সমস্যা বা ক্যান্সারের চিকিৎসা নারীর মেনোপজকে ত্বরান্বিত করে।
মেনোপজের পর কি বাচ্চা হয়
মেনোপজ কি কেন হয় ও লক্ষন, মেনোপজের পর বাচ্চা সম্ভাবনা কমে যায় কারণ মেনোপজ পরে ডিম্বাশয় ডিম উৎপাদন বন্ধ করে দেয় যা গর্ভধারণের জন্য অপরিহার্য এবং মেনোপজের বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা শেষ হয়ে যায়ঃ মেনোপজের পরে, নারীদের ডিম্বাশয় থেকে ডিম উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এবং সাধারণ নারীদের মাসিক বন্ধ হওয়ার পর ডিম্বাশয় গুলো আর সক্রিয় থাকে না ফলে গর্ভধারণের জন্য প্রয়োজনীয় ডিম পাওয়া সম্ভব হয় না যা প্রাকৃতিক ভাবে বাচ্চাও ধারণার ক্ষমতা হ্রাস করে।
আরো পড়ুনঃ কাঁচা আমলকি খাওয়ার ২০টি নিয়ম ও উপকারিতা
ইস্ট্রোজেনের হ্রাসঃ মেনোপজের পর নারীদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন পরিমাণ কমে যায় এবং এই হরমোন গর্ভধারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি জরায়ুতে দিন প্রতিস্থাপনে প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এবং ইস্ট্রোজেন কমে যাওয়ার কারণে গর্ভের পর্দা পাতলা হয়ে যায় যা গর্ভধারণের সম্ভাবনাকে আরো কঠিন করে তোলে।
কৃত্রিম প্রযুক্তির মাধ্যমে সুযোগঃ আজকের আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান উন্নত হওয়ার কারণে মেনোপজের পরেও কিছু ক্ষেত্রে কৃত্রিম উপায়ে যেমন ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন এ গর্ভধারণ সম্ভব তবে এর জন্য ডোনারের ডিম ব্যবহার করতে হয় কারণ মেনোপজ পর নারীর নিজের ডিম্বাশয় থেকে ডিম পাওয়া সম্ভব নয়।
ডিম সংরক্ষণ করার পদ্ধতিঃ অনেক নারী মেনোপজ এর আগে তাদের ডিম সংরক্ষণ করে রাখেন ভবিষ্যতে গর্ভধারণের জন্য। এটি একটি নতুন এবং কার্যকরী পদ্ধতি যার মাধ্যমে নারীরা তাদের ডিম সংরক্ষণ করতে পারেন এবং মেনোপজের পরেও কৃত্রিম উপায়ে গর্ভধারন এর মাধ্যমে মা হতে পারেন।
মানসিক প্রস্তুতিঃ মেনোপজ পর গর্ভধারণ এবং সন্তান লালন পালনের জন্য শারীরিক মানসিক প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেহেতু এই সময়ে শারীরিক শক্তি কিছুটা কমে যায় এবং গর্ভধারন করলে শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে এজন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বয়সের প্রভাবঃ মেনোপজের এর পরের বয়সের সাথে সাথে নারীদের স্বাস্থ্যের উপর যে পরিবর্তন আসে তা গর্ভধারণের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি করতে পারে। বয়স বাড়লে সন্তান ধারণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বাড়ে যা গর্ভ অবস্থায় বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং তাছাড়া বয়স বৃদ্ধির কারণে সন্তানের ওপর স্বাস্থ্যের প্রভাব পড়তে পারে।
মেনোপজের পর গর্ভধারণ একটি চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া যদিও প্রাকৃতিকভাবে এটি সম্ভব নয় তবে কৃত্রিম উপায়ে গর্ভধারণের মাধ্যমে মেনোপজের পরেও সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব।
মেনোপজের পর কি কি সমস্যা হয়
মেনোপজ কি কেন হয় ও লক্ষন, মেনোপজ এরপর নারীদের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসে জানানো ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে কিছু আলাদা আলাদা সমস্যা মেনোপজ পরে দেখা দিতে পারে তার নিচে তুলে ধরা হলো।
স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের ঘাটতিঃ মেনোপজের পর অনেক নারী স্মৃতি শক্তি এবং মনোযোগের সমস্যা অনুভব করেন যার মনের পরিবর্তনের কারণে ঘটে এবং ব্রেইন ফগ নামে পরিচিত এবং এই সময়ে নারীরা অল্পতেই ভুলে যান বা মনোযোগ ধরতে অসুবিধা অনুভব করেন।
প্রস্রাব ধরে রাখার সমস্যাঃ মেনোপজের পর পেলভিক মাংসপেশি শক্তি কমে যাওয়ার কারণে অনেক নারীর প্রস্রাব ধরে রাখতে সমস্যা হয় যাকে ইরানি ইন কন্টেন্সিস বলা হয় যা। এটি সাধারণত হাঁচি-কাশিবা ভারী কিছু তুললে হয়ে থাকে এবং এ সমস্যাটি দৈনন্দিন জীবনে বিরক্তির কারণ হতে পারে।
চুলের ঘনত্ব কমে যাওয়াঃ মেনোপজের পর চুলের ঘনত্ব কমে যায় এবং অনেকের চুল ঝরতে থাকে যা ইস্ট্রোজেনের অভাবের কারণে চুলের বৃদ্ধির হার কমে যায় ফলে চুল পাতলা এবং শুষ্ক হতে থাকে এবং কিছু ক্ষেত্রে মুখে অতিরিক্ত লোম দেখা যেতে পারে।
পেশী দুর্বলতা ও শক্তির অভাবঃ মেনোপজের পর বেশি দুর্বলতা দেখা দিতে পারে এবং দৈনন্দিন কাজগুলোতে শক্তির অভাব অনুভূত হয় এবং পেশির শক্তি কমে যাওয়া শরীরের স্ট্যামিনা কমে দেয় যা অনেকের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করে এবং নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে এটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে।
ঘুমের অস্থিরতাঃ মেনোপজের পর ঘুমের সমস্যা একটি সাধারণ সমস্যায় হিসেবে দেখা যায় এবং অনেকেই গভীর রাতে ঘুমাতে পারেন না বা মাঝরাতে বারবার ঘুম ভেঙে যায় যা ক্লান্তির এবং উদ্বেগের কারণ হতে পারে এবং ঘুমের সমস্যা মানসিক চাপকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টইনাল সমস্যাঃ মেনোপজের পর অন্ত্র কার্যকারিতায় পরিবর্তন আসে যা হজমের সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে যা ইস্ট্রোজেনের অভাবে হজম প্রক্রিয়া ধীরগতিতে হয় যা পেটের নানান সমস্যার সৃষ্টি করে এবং পুষ্টির গ্রহণের ওপর প্রভাব ফেলে। মেনোপজের পর বিভিন্ন পরিবর্তনের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন নারীদের জন্য সহায়ক হতে পারে।
মেনোপজের সবচেয়ে খারাপ দিক কোনটি
মেনোপজ কি কেন হয় ও লক্ষন, মেনোপজ একটি সাধারণ স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া হলো এটি নারীদের জীবনে কিছু কঠিন পরিবর্তন নিয়ে আসে যা মেনোপজ পরে কিছু সমস্যা হতে পারে যা তাতে শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্যের গভীরভাবে প্রভাব ফেলে নিজে মেনোপজ এর সবচেয়ে কঠিন কিছু দিক উল্লেখ করা হলো।
যৌন জীবনে পরিবর্তনঃ মেনোপজের পরে যৌন জীবনে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং অনেক নারী যৌন আগ্রহ কমে ফেলার অনুভব করেন এবং শারীরিকভাবে আরাম অনুভব করতে সমস্যার সম্মুখীন হন। এবং শারীরিকভাবে আরাম অনুভব করতে সমস্যার সম্মুখীন হন এবং হরমোনের অভাবে যৌনি শুষ্কতা দেখা দিতে পারে যা যৌন জীবনে অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
দুর্বল ইমিউন সিস্টেমঃ ইস্ট্রোজেন হরমোন ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী রাখে এবং মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেনের অভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এর ফলে সংক্রমণ ইউরানির ট্র্যাপ ইনফেকশন এবং ত্বকের ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে।
মানসিক সুস্থতায় দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবঃ মেনোপজ পরবর্তী সময়ে অনেক নারী দীর্ঘমেয়াদী মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে এবং হতাশা উদ্বেগ এবং হতাশার অনুভূতি দীর্ঘস্থায়ীভাবে থেকে যেতে পারে এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সময় বেশি মানসিক সাপোর্ট ও সহযোগিতার প্রয়োজন হতে পারে।
শরীরে পানি ধরে রাখার সমস্যাঃ মেনোপজের পর অনেক নারী শরীরে পানি ধরে রাখার প্রবণতা অনুভব করেন এবং এটি শারীরিক ওজন বৃদ্ধি বা পা হাতের ফলা এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং এটি ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার কারণেও হতে পারে যা শরীরে বিভিন্ন কার্যক্ষমতা কে প্রভাবিত করে।
চামড়ার পরিবর্তে এবং সংবেদনশীলতাঃ মেনোপজের পরে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায় এবং এটি শুষ্ক ও পাতলা হতে থাকে এমনকি কিছু নারীদের ত্বকে শিরায় স্পষ্ট হয়ে যায় যা সৌন্দর্য নিয়ে সচেতন নারীদের জন্য মানসিক চ্যালেঞ্জ হতে পারে এবং ত্বকের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পাওয়া এটি সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
হৃদপিণ্ড ও রক্তনালির সমস্যার ঝুঁকি বৃদ্ধিঃ মেনোপজের পরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার কারণে রক্তনালী গুলোর স্থিতিস্থাপকতা কমে যায় এবং এর ফলে উঁচু রক্তচাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি ও হৃদরোগে ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং মেনোপজের পর নারীদের হৃদরোগের ঝুঁকি পুরুষদের মতই বেড়ে যেতে পারে
মেনোপজের সময় শরীরে কি কি পরিবর্তন হয়
মেনোপজ কি কেন হয় ও লক্ষন, মেনোপজের সময় শরীরে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে যা নারীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রভাবিত করতে পারে নিচে মেনোপজের সময় শরীরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হলো।
পেটের পেশীতে টান এবং অস্বস্তিঃ মেনোপজের সময় অনেকেই পেটের পেশিতে টান অনুভব করেন এবং তা অস্বস্তিকর হতে পারে এবং এটা বা খিচুনি বিশেষ করে পেটে এবং নিতম্বে অনুভূত হয় এবং এটি হরমোনের কমে যাওয়া এবং হজম প্রক্রিয়ায় প্রভাবের কারণে ঘটে।
দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তনঃ মেনোপজের সাথে ইস্ট্রোজেন হ্রাস পেলে কিছু নারীর ক্ষেত্রে চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয় এবং দৃষ্টি শক্তিতে সামান্য পরিবর্তন দেখা যেতে পারে এবং চোখে শুষ্কতা বৃদ্ধি পাওয়া ঝাপসা ঢাকা সহ সাধারণ চোখের সমস্যাগুলো বাড়তে পারে।
পেশীয় সন্ধির ব্যথাঃ হরমোন পরিবর্তনের কারণে মেনোপজের অনেক নারীর পেশীয় সন্ধিতে ব্যথা শুরু হতে পারে এবং এই ব্যথা অস্বস্তি সাধারণত হাঁটু কাঁধ এবং কোনুইতে বেশি দেখা যায় এবং নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে পারে।
বাতাস জমে যাওয়াঃ মেনোপজের সময় অনেক নারী তাদের হজম প্রক্রিয়াতে পরিবর্তন অনুভব করেন এবং এর ফলে পেটে গ্যাস জমার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এবং এটি বিশেষ করে পেটের অস্বস্তি এবং ফোলা ভাবের কারণ হতে পারে।
অ্যাজমার ঝুঁকি বৃদ্ধিঃ কিছু নারীর ক্ষেত্রে মেনোপজের সময় শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং অ্যাজমার যোগী বাড়ে এবং হরমোনের ঘাটতি শ্বাস প্রশ্বাসের সিস্টেম এ প্রভাব ফেলে এবং ফলে শ্বাসকষ্ট হওয়া বুকে ভারী অনুভূতির সমস্যা দেখা দেয়।
কার্ডিও ভাস্কুলার ঝুঁকি বৃদ্ধিঃ ইস্ট্রোজেন নারীদের কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সহায়ক তবে মেনোপজের পর এই হরমোনের অভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টরেল এবং হৃদরোগের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
মেটাবলিজম এর হার কমে যাওয়াঃ মেনোপজ এর সময় মেটাবলিজম এর হার কমে যায় বা ওজন বৃদ্ধি ও পেটে চারপাশে চর্বি জমার কারণ হতে পারে এবং এই পরিবর্তন দৈনন্দিন কাজকে আরো কঠিন করে তুলতে পারে এবং দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
মেনোপজের বন্ধ হওয়ার লক্ষণ
মেনোপজের শেষ হয়ে আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় নারীদের শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায় যা মেনোপজ পরবর্তী সময় কেউ প্রভাবিত করে। নিচে মেনোপজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কিছু লক্ষণ তুলে ধরা হলো।
ঋতুস্রাবের বন্ধ হয়ে যাওয়াঃ মেনোপজের প্রধান লক্ষণ হল মাসিক ঋতুস্রাবের চক্র অনামিত হয়ে আসে এবং শেষে একদম বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সে সম্পন্ন হয় এবং তবে এর আগে ঋতুস্রাবের তারিখে অনিয়মিত তা দেখা যায় এবং ধীরে ধীরে এটি বন্ধ হয়ে যায়।
হট ফ্ল্যাশের অভাবঃ মেনোপজের সময় শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে হট ফ্ল্যাশ তৈরি হয়। এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণ এবং মেনোপজে শেষের দিকে হট ফ্ল্যাশ কমতে থাকে এবং শরীর ক্রমে পরিবর্তন অবস্থায় চলে আসে এবং মেনোপজের শেষে এই হট ফ্ল্যাশ একেবারে কমে আসতে পারে।
মনোযোগের উন্নতিঃ মেনোপজের সময় অনেক নারীর ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা দেখা দেয় এবং মেনোপজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে শরীরের স্থিতিশীলতায় এলে এ সমস্যাগুলো কমতে শুরু করে এবং সময় মানসিক স্থিতিশীলতা ধীরে ধীরে ফিরে আসে।
ঘুমের মান বৃদ্ধিঃ মেনোপজের আগে ও চলাকালীন অনেক নারীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে তবে মেনোপজ শেষ হওয়ার পর ঘুমের মান আবার স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে এবং শরীরের হরমোনের তারতম স্থিতিশীল হলে ঘুমের মান উন্নতি লাভ করে।
ভাগকেন্দ্রীকরণ এবং আবেগের ভারসাম্যঃ মেনোপজের শেষের দিকে এসে আবেগ নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হয় এবং নারীরা প্রায় আবেগ জনিত পরিবর্তন যেমন রাগ বিষন্নতা বা উদ্বেগ অনুভব করেন মেনোপজে র সময় কিন্তু একবার স্থিতিশীল হলে এই আবেগজনিত চাপে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ আসে।
শারীরিক গঠনঃ মেনোপজ এর আগে অসময়ের শরীরের মেটাবলিজমের গতি পরিবর্তনের কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয় এবং স্থির হয়ে যাওয়ার পরে শরীরের মেটাবলিজম কিছুটা স্থিতিশীল হতে শুরু করে এবং এই সময়ে শারীরিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসে।
মেনোপজ করার প্রতিকার
মেনোপজ কি কেন হয় ও লক্ষন, মেনোপজ এর প্রতিকার নেই তবে এর লক্ষণ ও সমস্যা মোকাবিলার জন্য কিছু কার্যকরী উপায় রয়েছে যা নারীদের জীবনযাত্রা সহজ করে তুলতে পারে এবং মেনু পরের লক্ষণ কম এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নিচে কয়েকটি কার্যকর উপায় উল্লেখ করা হলো।
হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপিঃ হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি এর কারণে শরীরে হরমোনের ঘাটতি পূরণ করে এবং ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টরের গ্রহণ করে হট ফ্ল্যাশ রাতের ঘুম এবং অন্যান্য লক্ষণ কমানো সম্ভব তবে এইচ আর টি নেওয়ার আগে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী কারণ এটি কিছু ক্ষেত্রে হৃদরোগ এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
খাদ্যাভাসে পরিবর্তনঃ সুষম খাদ্যাভাসে মেনোপজ এর লক্ষণ গুলো কমাতে সাহায্য করে এবং ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ এবং মাছ হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি ফল এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণ করলে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ হয় এবং ক্যাফেইন মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা হট ফ্ল্যাশ এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সহায়ক হতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়ামঃ নিয়মিত ব্যায়াম মেনোপজ এর লক্ষণ যেমন উদ্বেগ হতাশা এবং ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে এবং যোগ ব্যায়াম এবং মেডিটেশন মানসিক প্রশান্তিয়ান এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারদিন হালকা ব্যায়াম যেমন সকালে হাঁটার সাইকেল চালানো এবং যোগ ব্যায়াম করলে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় থাকে।
প্রাকৃতিক সম্পূরক গ্রহণঃ কিছু প্রাকৃতিক সম্পূরক যেমন সোয়া আইসোফ্লাভোন ব্ল্যাক ও কোহস এবং ফ্লাক্সিড হট প্লাস এবং অন্যান্য লক্ষণ নিয়ন্ত্রণের সহায়ক হতে পারে তবে এসব সম্পূরক গ্রহণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
স্ট্রেস ব্যবস্থাপনাঃ মেনোপজ এর সময় ঘুম পর্যাপ্ত নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিদিন নিয়মিত ঘুমের সময় বজায় রাখা এবং শান্তিপূর্ণ ঘুমের পরিবেশ তৈরি করা আবশ্যক এবং গভীর শ্বাস নেওয়া মেডিটেশন এবং স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কার্যক্রম মেজাজ উন্নত করতে সহায়ক।
সামাজিক সাপোর্টঃ মেনোপজের সময় মানসিক চাপ ও উদ্যোগ নিয়ন্ত্রণে পরিবারের সহযোগিতা এবং সামাজিক সাপোর্ট বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং মানসিক স্বাস্থ্য সেবা যেমন কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি এবং কাউন্সিলিং মেনোপজের মানসিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে সাহায্য করতে পারে।
লেখক এর মন্তব্য
মেনোপজ কি কেন হয় ও লক্ষন, এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করে মেনোপজ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে এবং আপনি যদি এই সম্পর্কে জেনে না থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল আপনার জন্য এবং এখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু মেনোপোজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে আশা করি আপনারা এখান থেকে জানতে পারবেন বিস্তারিত।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি আরও পড়তে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
পদ্মাম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url