কিভাবে কম্পিউটারে সফটওয়্যার অথবা App ইন্সটল করতে হয়

কিভাবে কম্পিউটারে সফটওয়্যার অথবা App ইন্সটল করতে হয়, এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কম্পিউটারে সফটওয়্যার ইন্সটল করা সম্পর্কে আলোচনা করব।

কিভাবে কম্পিউটারে-সফটওয়্যার অথবা-App ইন্সটল-করতে হয়

এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে আমরা কম্পিউটারে সফটওয়্যার ইন্সটল করার পর কিভাবে আপডেট করতে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই কম্পিউটারের সফটওয়্যার সেটআপ এবং ইনস্টলেশন করার উপায় গুলো কি কি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কিভাবে কম্পিউটারে সফটওয়্যার অথবা App ইন্সটল করতে হয় জানুন

কিভাবে কম্পিউটারে সফটওয়্যার অথবা App ইন্সটল করতে হয়

সফটওয়্যার বাই অ্যাপ ইন্সটল করার প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ তবে কিছু বিষয় মনে রাখলে আরো এটি কার্যকরী এবং নিরাপদ হয়ে ওঠে। কিভাবে কম্পিউটারে সফটওয়্যার অথবা App ইন্সটল করতে হয় এ বিষয়ে এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ দেয়া হলো যা আপনাকে সফটওয়্যার বা অ্যাপ ইন্সটল করতে সহায়ক হবে।
  • সফটওয়্যার ইন্সটল করার পর প্রথম ধাপ হলে সঠিক সফটওয়্যার বা অ্যাপ ডাউনলোড করা। এটি করতে সফটওয়্যারটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট বা জনপ্রিয় অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে। কখনোই সন্দেহজনক বা অবিশ্বাস্য উৎস থেকে ডাউনলোড করা যাবে না কারণ এটি আপনার কম্পিউটার বা ডাটা নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ডাউনলোড করার সময় ডাউনলোড ফাইল এর নাম এবং সাইজ চেক করুন যাতে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে এটি আসল এবং নির্ভরযোগ্য।
  • ডাউনলোড করার পর ফাইলটি খুঁজে বের করে ডাবল ক্লিক করতে হবে যাতে সেট আপ ফাইল চালু হয়। সাধারণত এটি একটি .exe, .msi বা .dmg ফাইল হবে যার মাধ্যমে সফটওয়্যার বা অ্যাপ ইনস্টলেশন শুরু হয়। কিছু সফটওয়্যার ফাইল আর্কাইভ বা জিপ আকারে ডাউনলোড হয় যা এক্সট্রাক্ট করতে হবে এবং এক্সট্রাক্ট করার পরে ইনস্টলেশন ফাইলটি চালু করতে হবে।
  • যখন সফটওয়্যার ইনস্টলেশন ফাইলটি চালু হয় তখন একটি উইজার্ড বা ইনস্টলেশন গাইড চালু হবে। এটি বিভিন্ন ধাপে গাইড করবে যেমন সফটওয়্যার লাইসেন্স চুক্তি, ব্যবহারকারী শর্তাবলী এবং কাস্টম বা ডিফল্ট সেটিংস নির্বাচন। এটি আপনাকে নির্দেশিকা দেওয়া হবে যে আপনি কোথায় সফটওয়্যার টি ইনস্টলেশন করবেন এবং কোন অতিরিক্ত উপাদান ইনস্টল হবে না এবং আপনার কাস্টমাইজেশন অপশন চালু থাকবে।
  • বেশিরভাগ সফটওয়্যার ইনস্টলেশন এর সময় একটি লাইসেন্স চুক্তি প্রদর্শিত হবে। এই চুক্তি পড়ে সেটি গ্রহণ করুন কারণ এটি আপনাকে সফটওয়্যারটি ব্যবহারের জন্য বৈধ অনুমতি দেয়। অধিকাংশ সফটওয়্যার লাইসেন্স অর্থাবলী থাকে যা আপনাকে মেনে চলতে হবে এবং লাইসেন্স চুক্তি না মেনে সফটওয়্যার দিয়ে ব্যবহার করা আইনগতভাবে অনুমোদিত নয় তাই চুক্তি মেনে নিন এবং ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া চালিয়ে যান।
  • শব্দটি কোথায় ইন্সটল হবে তা নির্বাচন করার জন্য আপনাকে একটি পাথ বা ফোল্ডার নির্বাচন করতে বলা হবে। সাধারণত সফটওয়্যারটি ডিফল্ট ফোল্ডারে ইনস্টল হয় তবে আপনি চাইলে এটি অন্য কোন ড্রাইভ বা ফোল্ডার ইনস্টল করতে পারেন এবং বিশেষ করে যদি আপনার সিস্টেম ড্রাইভ পূর্ণ হয়ে থাকে তবে অন্য কোন ড্রাইভে সফটওয়্যার ইন্সটল করা উত্তম। ইনস্টলেশন এর আগে অবশ্যই ড্রাইভের পর্যাপ্ত স্থান আছে কিনা যাচাই করে নিতে হবে।
  • সফটওয়্যার ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সফটওয়্যারটি প্রথমবার চালু করতে হবে। কখনো কখনো সফটওয়্যারটি একটি আপডেট চেক করবে বিশেষ করে যদি এটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংস্করণ পাওয়া যায়। সফটওয়্যারটি সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করতে আপডেট ইনস্টল করতে হবে। এটি সফটওয়্যারটির পারফরম্যান্স সফটওয়্যারটির উন্নত করবে এবং নিরাপত্তা বাগ ফিক্স করবে ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া শেষ হলে সফটওয়্যারটি আপনার কম্পিউটারে সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হব।

কম্পিউটারের সফটওয়্যার ইন্সটল করার জন্য প্রস্তুতি

কম্পিউটারের সফটওয়্যার অথবা অ্যাপ ইন্সটল করার প্রক্রিয়া অনেকটা সাধারণ হলো এটি সফলভাবে ও নিরপদে করার কিছু বিশেষ পদক্ষেপ অনুসরণ করা প্রয়োজন এর জন্য কিভাবে কম্পিউটারে সফটওয়্যার অথবা App ইন্সটল করতে হয় আর কি প্রস্তুতি নেওয়া দরকার এই নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।
  • সফটওয়্যার বা অ্যাপ ইন্সটল করার সময় অনেকেই ভুল ভাবে অনির্ভরযোগ্য সাহিত্য থেকে ডাউনলোড করে থাকেন। সেক্ষেত্রে মেলওয়ার বা ভাইরাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অধিকাংশ ইনস্টলেশন ফাইলের জন্য একটি ডিগেস্ট হ্যাশ প্রবর্তিত থাকে যা ডাউনলোড ফাইলটি নিরাপদ কিনা যাচাই করা জন্য থাকে। ফাইলের MD,SH1 বা SHA256 হ্যাস কোড চেক করুন এবং সফটওয়্যার নির্মাতার সাইটে দেওয়া হ্যাশের সাথে তুলনা করুন।
  • অনেক সময় কম্পিউটারের স্থায়ী সফটওয়্যার ইন্সটল করতে অগ্রাধিকারের বিষয় থাকে না। এ পরিস্থিতিতে পোর্টেবল সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন যা installation ছাড়াই চলতে পারে এবং ইউএসবি ড্রাইভার সংরক্ষণ করা যায়। পোর্টেবল সফটওয়্যার গুলো বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম এ সমানভাবে কাজ করতে পারে এবং এটি আপনার সিস্টেমে কোন পরিবর্তন না এনে প্রয়োজনীয় কাজ করতে সক্ষম।
  • অনেক সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট চেক করে এবং যদি আপডেট থাকে তা ইন্সটল করে নেয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ করে আপনি যদি নির্দিষ্ট সংখ্যার ব্যবহার করতে চান তাহলে আপডেট বন্ধ রাখা ভালো। এ ক্ষেত্রে সফটওয়্যার সেটিংসে গিয়ে অটো আপডেট অপশনটি ডিজেবল করে রাখতে হবে। আপনি প্রয়োজনীয় সময় পেয়ে ম্যানুয়ালি আপডেট করতে পারবেন।
  • অনেক সফটওয়্যার ইনস্টলেশন এর সময় ডিফল্টভাবে কিছু অপ্রয়োজনীয় উপাদান যেমন টুলবার, ব্রাউজার এক্সটেনশন ইত্যাদি ইনস্টল হতে পারে। এগুলো বন্ধ রাখার জন্য কাস্টমার ইনস্টলেশন নির্বাচন করা উচিত। এইভাবে আপনি শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় উপাদান গুলোই ইন্সটল করতে পারবেন এবং সফটওয়্যারটি আপনার সিস্টেমে অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম এবং বিজ্ঞাপন সংযোগ করতে পারবে না।
  • যখন আপনি সফটওয়্যার ইনস্টল করেন ফায়ারওয়াল এবং এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলি প্রায় নতুন সফটওয়্যার বাই অ্যাপের জন্য সতর্কবার্তা জারি করতে পারে। যদি সত্য একটি নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ না হয় তবে আপনার এন্টিভাইরাস বা ফায়ারওয়াল সেটিংসে সফটওয়্যার এর জন্য অনুমতি দেওয়া উচিত। যদি সফটওয়্যারটি ছন্দের জনক মনে হয় তবে সেটি ইন্সটল না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
  • সফটওয়্যার বা অ্যাপ ইন্সটল করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে এটি আপনার অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিছু সফটওয়্যার শুধুমাত্র উইন্ডোজ ১০ বা ম্যাকবুকের জন্য নতুন সংস্করণ এ কাজ করতে পারে। এতে আপনার অপারেটিং সিস্টেমের সংস্করণ বা কোন নির্দিষ্ট সেটিংস মেলানো নিশ্চিত করতে হবে।

ইনস্টলেশন ফাইল সনাক্তকরণ

ইনস্টলেশন ফাইল সনাক্ত করার শুধু সাধারণ যাচাই নয় বরং কিভাবে কম্পিউটারে সফটওয়্যার অথবা App ইন্সটল করতে হয় এবং করার পরে সাইবার নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে এমন কিছু তথ্য ও পদ্ধতি তুলে ধরা হলো যা অধিকাংশ নিরাপদ সফটওয়্যার এর জন্য।
  • প্রতিটি ফাইল এর একটি এন্ট্রিপি লেভেল থাকে যা ডাটা কম্প্রেশন এবং এনক্রিপশন এর মাত্রা নির্দেশ করে। সন্দেহজনক ইনস্টলেশন ফাইলের এন্ট্রিপি লেভেল খুব বেশি বা কম হতে পারে। তোর যেমন এনট্রপি এনালাইসিস টুলস এর ব্যবহার করে আপনি ফাইলটির প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে পারেন। উচ্চ এন্ট্রপি মানে ফাইলটি ইনক্রিপ্টেড বা প্যাকেড হতে পারে যা ম্যালওয়্যার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
  • শুধুমাত্র ডিজিটাল সিগনেচার নয় বরং কোড শাইনিং সার্টিফিকেট চেক করে দেখুন নির্মাতা বাস্তবিকভাবে একটি বিশ্বস্ত সংস্থা কিনা। পাওয়ার সেলের মাধ্যমে ফাইল এর কোড সাইনিং সার্টিফিকেট ডিটেলস পরীক্ষা করতে হবে। যদি নির্মাতার নাম অজানা বা সন্দেহজনক মনে হয় তবে ফাইলটি চালানো থেকে বিরত থাকুন।
  • ইনস্টলেশন ফাইলের রিসোর্স সেকশন বিশ্লেষণ করে জানা যায় এটি সত্যি কারের বৈধ ফাইল কিনা। PE Explorer এর মত টুল ব্যবহার করে ফাইলে রিসোর্স সেকশন চেক করতে হবে। সন্দেহজনক ফাইল গুলিতে প্রায় বানান ভুল এবং নির্মাতা নাম বা নিম্নমানের আইকন থাকে।
  • ইনস্টলেশন ফাইল চালানোর আগে এটি একটি স্যন্ডবক্স পরিবেশে চালান। স্যন্ডবক্স পরিবেশে ফাইল দিয়ে কি ধরনের আচরণ করে তা বিশ্লেষণ করা যায়। এটি ম্যালওয়্যার অতিরিক্ত রেজিস্ট্রি এন্ট্রি এবং নিরাপদ নেটওয়ার্ক সংযোগ সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
  • প্রতিটি ফাইল এর একটি টাইম স্ট্যান্ড থাকে যা ইঙ্গিত করে ফাইলটি কখন তৈরি করা হয়েছে। সন্দেহজনক ফাইল এর ক্ষেত্রে টাইম স্ট্যাম্প টি ডেভলপারের প্রকৃত রিলিজ সময়ের সাথে মিলে না। Sigcheck টুল ব্যবহার করে ফাইল এর টাইম স্টাম্প যাচাই করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে এটি নির্মাতার যাওয়ার সময়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা।

কাস্টম বা স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টলেশন নির্বাচন

ইনস্টলেশন প্রোগ্রাম স্ট্যান্ডার্ড বা কাস্টম অপশন নির্বাচন করার সময় ব্যবহারকারীরা অনেক সাধারণ পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে যা তাদের বুঝায় কিভাবে কম্পিউটারে সফটওয়্যার অথবা App ইন্সটল করতে হয় এবং এখানে কিছু স্ট্যান্ডার্ড ও কাস্টম অপশন নিয়ে আলোচনা করা হলো।
কিভাবে কম্পিউটারে-সফটওয়্যার অথবা-App ইন্সটল-করতে হয়
  • স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টলেশনের সাধারণ বিফল পারমিশন সেট করা থাকে যা আপনার অজান্তে সিস্টেমের কিছু গুরুত্বপূর্ণ রিসার্চে এক্সেস দিতে পারে। কাস্টম ইনস্টলেশনের সময় পারমিশন অপশন চেক করতে হবে এবং প্রয়োজনে অপশন গুলো নিজে নির্বাচন করতে হবে। অনেক সপ্তাহের অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস চালানোর অনুমতি চেয়ে থাকে।
  • স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টলেশন অনেক সময় অতিরিক্ত সফটওয়্যার বা টুর ব্যবহার ইনস্টল হয় যা সিস্টেমের পারফরম্যান্স কমিয়ে দেয়। কাস্টম ইনস্টলেশনে অপশন এ এক্সট্রা অপশন গুলোর টিক তুলে দেয়। যেমন অপ্রয়োজনে ব্রাউজার এক্সটেনশন বা অ্যান্টিভাইরাস ট্রায়াল ভার্সন প্রায় স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টলেশন এ যুক্ত হয়।
  • স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টলেশন এর সাধারণত সি ড্রাইভে ইনস্টল হয় যা সিস্টেমের মূল ড্রাইভ। কাস্টম ইনস্টলেশন এর মাধ্যমে ফাইল লোকেশন পরিবর্তন করে অন্য ড্রাইভে রাখতে হবে এবং এটি সিস্টেমের পারফরম্যান্স উন্নত করতে সহায়ক। উদাহরণ গেম বা ভারি সফটওয়্যার আলাদা টাইপিং ইনস্টল করা ভালো যাতে অপারেটিং সিস্টেমের গতি প্রভাবিত না হয়।
  • কাস্টম ইনস্টলেশন এ আপনি সফটওয়্যার নির্দিষ্ট ফিচারগুলো নির্বাচন করতে পারবেন যা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করবে। উদাহরণ একটি ডেভেলপমেন্ট টুল ইন্সটল করার সময় আপনি প্রয়োজনীয় মডিউলগুলো নির্বাচন করে ইনস্টলেশনের সময় বাঁচাতে পারেন। স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টলেশন ফিচারগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ করে যা অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় হয়।
  • স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টলেশন এর প্রায় ডাটা কালেকশন এবং এনালিটিক্স ট্রাকিং ডিফল্টভাবে চালু থাকে এবং কাস্টম ইনস্টলেশনে এগুলো বন্ধ করার অপশন পাওয়া যায়। সফটওয়্যার এর ট্রাকিং ফিচার বন্ধ করলে আপনার ডাটা সুরক্ষিত থাকবে এবং স্প্যাম নোটিফিকেশন কমে যাবে।
  • অনেক সফটওয়্যার স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টলেশন এর সময় অটোমেটিক আপডেট চালু করে যা ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার করে। কাস্টম ইনস্টলেশন এ ম্যানুয়াল আপডেট অপশন নির্বাচন করতে হয়। এটি আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ে আপডেট করতে সাহায্য করে এবং ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ বাঁচায়।

লাইসেন্স চুক্তি এবং শর্তাবলী গ্রহণ

লাইসেন্স চুক্তি এবং শর্তাবলী গ্রহণ করার সফটওয়্যার ইনস্টলেশন এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই চুক্তিতে সপ্তাহের ব্যবহারকারী এবং নির্মাতার মধ্যে দায়িত্ব অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা নির্ধারণ করা হয় এবং অনেক ব্যবহারকারী সাধারণত এটি না করে এগ্রি বোতামে ক্লিক করেন যা ভবিষ্যতে জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে এবং চুক্তিতে উল্লেখিত শর্তাবলী বুঝিয়ে গ্রহণ করা এটি সতর্ক ও দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করে।

লাইসেন্স চুক্তিতে সাধারণত সফটওয়্যারটি সব ব্যবহারের সীমা অনুমোদিত ক্রিয়া-কলাপ এবং নিষিদ্ধ ব্যবহারের বিষয়গুলি উল্লেখ থাকে। এটি যাচাই করার জরুরী যে সফটওয়্যারটি বাণিজ্যিক এবং ব্যক্তিগত আর উভয়ের উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অনুমতি দেয় কিনা। এছাড়া অনেক সময় শর্তাবলীতে ডাটা কালেকশন এবং বিজ্ঞাপন বা তৃতীয় পক্ষের এক্সেসের বিষয়ে উল্লেখ থাকে। এ ধরনের শর্তগুলি এড়াতে চুক্তি ভালোভাবে পড়া উচিত।

শর্তাবলী মেনে না চলা হলে আপনি আইনি ঝুঁকিতে পড়তে পারেন বা সফটওয়্যারটি ব্লক হয়ে যেতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ সফটওয়্যারটি একটি নির্দিষ্ট ডিভাইসে ব্যবহার করা শর্ত থাকতে পারে যা উপেক্ষা করলে সরকার ব্যবহার অকার্যকর হয়ে যেতে পারে তাই ইনস্টলেশনের সময় লাইসেন্স চুক্তি মনোযোগ সহকারে পড়ে এবং বুঝে গ্রহণ করা সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে।

ইনস্টলেশন কনফিগারেশন সেটআপ সম্পন্ন

ইনস্টলেশন কনফিগারেশন সেট আপ একটি সফটওয়্যার ইনস্টলেশন এর গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এই প্রক্রিয়ায় ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী সফটওয়্যার সেট আপ করা হয় যেমন ফাইল লোকেশন নির্বাচন এবং ডিফল্ট অপশন পরিবর্তন আর অ্যাড ওয়ান ফিচার যুক্ত করা। বেশিরভাগ সফটওয়্যার ডিফল্ট সেটিংস এ আসে যা কখনো কখনো অপ্রয়োজনীয় ফিচার যুক্ত করে। তাই কাস্টম কনফিগারেশন ব্যবহার করে আপনার নির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী সফটওয়্যার সেটআপ করার সুযোগ নেওয়া উচিত।
সফটওয়্যার কনফিগারেশনে আপনি কাস্টমাইজ অপশন বেছে নিতে পারেন যেমন ডাটা স্টোরেজের লোকেশন বা ইন্টারফেস লেআউট। এটি শুধুমাত্র ব্যবহারকারীর প্রয়োজন মেটায় না বরং সিস্টেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও সাহায্য করে। উদাহরণ স্বরূপ ডিফল্টভাবে সিস্টেম ড্রাইভ এ ইন্সটল করার পরিবর্তে অন্য ড্রাইভ এর সফটওয়্যার রাখলে সিস্টেম পারফরম্যান্স উন্নত হয় এবং ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। এ ধাপটি বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ যখন আপনি বড় স্কেল প্রজেক্ট বা ডাটা নির্ভর সফটওয়ার সেটআপ করেছেন।

কনফিগারেশন সেট আপ শেষ করার পর নিশ্চিত করতে হবে যে ইনস্টলেশন এর সব ধাপ সঠিকভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে এবং ফাইনাল কনফিগারেশন অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্য সফটওয়্যার আপডেট এবং লাইসেন্স চুক্তির শর্ত নিশ্চিত করতে হবে। ইনস্টলেশন শেষ হলে সফটওয়্যারটি চালিয়ে দেখতে হবে এবং এটি সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা। এই চূড়ান্ত যাচাইকরনের মাধ্যমে সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যায় এবং ভবিষ্যতে সমস্যার সম্ভাবনা কমে।

ইন্সটলেশন সম্পূর্ণ হওয়ার পর করণীয়

ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর প্রথম কাজ হল সফটওয়্যার চালু করে দেখা এটি সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা। কোন ক্রুটি বা অনুপস্থিত ফাইলের সমস্যার কারণে সফটওয়্যারটি কাজ না করলে এটি পুনরায় ইন্সটল করতে হবে। এছাড়া সফটওয়্যার চালানোর সময় আর এটি আপনার সিস্টেমের সাথে সঠিকভাবে সংযুক্ত আছে কিনা সেটিও যাচাই করা প্রয়োজন। ড্রাইভার বা অ্যাড ওয়ান প্রয়োজন হলে সেগুলো সঠিকভাবে ইন্সটল হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।

সফটওয়্যার ইন্সটল করার পর পরই এটি সর্বশেষ আপডেট রয়েছে কিনা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে বিগ ফিক্সড এবং নতুন ফিচার যোগ করে থাকে। বিশেষত নিরাপত্তা সংক্রান্ত সফটওয়্যার যেমন অ্যান্টিভাইরাস, সর্বদা আপডেট থাকা উচিত। আপডেট অপশন ম্যানুয়ালি চেক করতে হবে এবং ইন্সটল করতে হবে। এছাড়া প্রাথমিক সেটিং যাচাই করে নিশ্চিত করতে হবে যেকোন ডিফল্ট ফিচার আপনার নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়।

ইনস্টলেশন শেষ হলে সফটওয়্যারটির কাস্টমাইজেশন শুরু করতে হবে এবং এটি অন্তর্ভুক্ত করে ইউজার ইন্টারফেস সেটআপ প্রয়োজনীয় টুল বা মডিউল যোগ করতে হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী প্রফাইল তৈরি করতে হবে। অফিস সফটওয়্যার ইন্সটল করার পর আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী টেমপ্লেট বা ডকুমেন্ট সেটিং কনফিগার করতে পারেন। এর ফলে আপনি আপনার কাজের জন্য সফটওয়্যারটি আর ও কার্যকর ব্যবহার করতে পারবেন। এই ধাপগুলো সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে সফটওয়্যারটি সম্পূর্ণভাবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হবে।

আপডেট এবং প্যাঁচ ইনস্টলেশন

সফটওয়্যার আপডেট এবং প্যাড ইন্সটল করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যা ব্যবহার করে সিস্টেম নিরাপত্তা এবং কার্যক্ষমতা নিশ্চিত করে। আপডেটের মাধ্যমে সফটওয়্যার নির্মাতারা বিদ্যমান বাগ  ত্রুটিগুলো ঠিক করে এবং নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করে। প্যাচ ইনস্টলেশন এর মাধ্যমে বিশেষত সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গুলো শক্তিশালী করা হয়। সঠিকভাবে আপডেট না করা হলে সফটওয়্যার পুরনো হয় এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
কিভাবে কম্পিউটারে-সফটওয়্যার অথবা-App ইন্সটল-করতে হয়
অধিকাংশ সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট অপশন প্রদান করে যার সময় মত আপডেট ইনস্টল করে। তবে কিছু ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল চেক করা প্রয়োজন হতে পারে বিশেষত যখন ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত বা সফটওয়্যারটি বিশেষভাবে কনফিগার করা। নিয়মিত আপডেট চেক করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার সফটওয়্যারটি সর্বশেষ সংস্করণে রয়েছে। প্যাচ ইনস্টলেশনের সময় এবং ডাউনলোডের নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে একটি সংগ্রহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভুয়া বা অপমানিত ফাইলগুলো সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

নিয়মিত আপডেট ইনস্টলেশন এর মাধ্যমে সফটওয়্যার দ্রুত এবং আরো কার্যকরী হয়। এর ফলে কেবলমাত্র নিরাপত্তা নয় বরং নতুন ফিচারের মাধ্যমে কাজের উৎপাদনশীলতা ও বৃদ্ধি পায়। একটি অফিস সফটওয়্যারের আপডেট এ নতুন টেমপ্লেট বা টুল যুক্ত হতে পারে যা ব্যবহারকারীর কাজকে সহজ করে এবং আপডেটের মাধ্যমে পুরনো হার্ডওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্য বৃদ্ধি করা হয়।

সফটওয়্যার ইনস্টলেশন এবং সমস্যা সমাধান

সফটওয়্যার ইনস্টলেশন সঠিক এবং ধাপে ধাপে সম্পন্ন হওয়া প্রক্রিয়া। এটি শুরু হয় নির্ভরযোগ্য সুচ থেকে ইনস্টলেশন ফাইল ডাউনলোড করার মাধ্যমে। এরপর ইনস্টলেশন এর সময় কাস্টমার অপশন নির্বাচন করতে হবে এবং লাইসেন্স চুক্তি গ্রহণ আর সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্য নিশ্চিত করা হয়। সফল ইনস্টলেশন নিশ্চিত করতে সিস্টেমের ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা পূরণ হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইনস্টলেশন প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যা দেখা দিলে প্রথম ত্রুটির কারণ সনাক্ত করতে হবে যেমন ইনস্টলেশন ফাইলের ত্রুটি সিস্টেমের অসামঞ্জস্য তা বা লাইসেন্স ইস্যু। অধিকাংশ সফটওয়্যার ইনস্টলার একটি ডিবাগ অপশন প্রদান করে যা ত্রুটি সমাধানের সহায়তা করে। প্রয়োজন হলে ডেভেলপারের সহায়তা নিন বা অনলাইনে সমাধান অনুসন্ধান করুন।

লেখক এর মন্তব্য

কিভাবে কম্পিউটারে সফটওয়্যার অথবা App ইন্সটল করতে হয়, এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করে সফটওয়্যার ইন্সটল সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি সফটওয়্যার ইনস্টল সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল আপনার জন্য। এখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু সবটার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা এখান থেকে জানতে পারবেন বিস্তারিত।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি আরো পড়তে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মাম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url