আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য উপকারিতা
আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য উপকারিতা, আপেল সাইডার ভিনেগার আজকাল একটি খুব জনপ্রিয় শব্দ এবং যারা ওজন কমাতে চান তারা সাধারণত আপেল সিডার ভিনেগার খান কিন্তু এটি আসলে কি কিভাবে এবং কতটা খেতে হবে এ পণ্যটির উপকারিতা এবং সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত কিনা সে সম্পর্কে অনেকের স্পষ্ট ধারণা নেই।
আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময় তাই আপনি যদি উক্ত বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
পোস্ট সুচিপত্রঃ আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য উপকারিতা জানুন
- আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময়
- আপেল সিডার ভিনেগার এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম
- আপেল সিডার ভিনেগার কতটুকু ও কিভাবে খাওয়া উচিত
- আপেল সিডার ভিনেগার কাদের খাওয়া উচিত নয়
- আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার অপকারিতা
- আপেল সিডার ভিনেগার কতদিন খাওয়া যায়
- আপেল সিডার ভিনেগার দাম কত
- লেখক এর মন্তব্য
আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য উপকারিতা
আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য উপকারিতা, আপেল সিডার ভিনেগার বা আপেল শিরকা একপ্রকার প্রাকৃতিক ভিনেগার যা আপেল থেকে তৈরি হয় এবং এটি স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং চিকিৎসা গুণের জন্য বেশ পরিচিত। নিয়মিত সঠিক পরিমাণে আপেল সিডার ভিনেগার গ্রহণ করলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধ এবং সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। নিচে আপেল সিডার ভিনেগারের উল্লেখযোগ্য উপকারিতা দেওয়া হল।
ওজন নিয়ন্ত্রণের সহায়কঃ আপেল সিডার ভিনেগার ওজন কমাতে বেশ কার্যকর হতে পারে। এটি খোদা কমে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে এবং এর ভেতরে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়ক হয়। এর ফলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমতে সাহায্য করে যা ওজন কমানোর একটি প্রাকৃতিক উপায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরঃ আপেল সিডার ভিনেগার রক্তের গ্লুকোজ লেভেল কমাতে সাহায্য করে যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং খাবার পর রক্তের শর্করা বৃদ্ধিকে কমিয়ে আনে। প্রতিদিন এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহায়তা পেতে পারেন।
হজম প্রক্রিয়া উন্নত করেঃ আপেল সিডার ভিনেগার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি পাকস্থলীর এনজাইম এর কার্যকারিতা বাড়িয়ে খাবার হজমের সহায়ক ভূমিকা পালন করে আপেল সিডার ভিনেগার থাকা প্রবায়োটিক উপাদান গুলো পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং এসিডিটির সমস্যা দূর করে।
ত্বক ও চুলের যত্নে উপকারীঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এই আপেল সিডার ভিনেগার বেশ উপকারী। এতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং আন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য যা ত্বকে ব্রণ বা ফুসকুড়ির সমস্যা কমায়। তাছাড়া আপেল সিডার ভিনেগার চুলের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখ এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করেঃ আপেল সিডার ভিনেগার এ থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল কমিয়ে আনে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যা হৃদ রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়ক। নিয়মিত অল্প পরিমাণে আপেল সিডার ভিনেগার গ্রহণ করলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া ও উন্নত হয়।
জীবাণু বিরোধী গুণঃ আপেল সিডার ভিনেগারের প্রাকৃতিক জীবাণু বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধের সাহায্য করে এবং শরীরকে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। গলা ব্যথা বা ঠান্ডা লাগলে এটি গার্গল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময়
আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য উপকারিতা, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার বা আপেল সিডকা একপ্রকার প্রাকৃতিক ভিনেগার যা স্বাস্থ্য রক্ষায় অনেকের কাছে জনপ্রিয়। তবে এটি খাওয়ার সঠিক সময় এবং পদ্ধতি জানা গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভুল সময়ে বা ভুল পদ্ধতিতে খেলে উপকারের বদলে ক্ষতি সম্ভাবনা থাকে। নিচে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সঠিক সময় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
সকালে খালি পেটেঃ অনেকে সকালের শুরুতে খালি পেটে আপেল সিডার ভিনেগার পান করেন। এতে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং পেটের মেদ কমাতে সহায়তা করে। সকালে খালি পেটে এটি খেলে শরীর সহজেই পুষ্টিগুলো শোষণ করতে পারে এবং দিনভর শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তবে এক চা চামচ ভিনেগার এক গ্লাস পানির সাথে মিশে খাওয়া উচিত কারণ এটি সরাসরি খেলে পেটে জ্বালা পোড়া বা অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।
খাবারের আগে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণেঃ আপেল সিডার ভিনেগার খাবারের আগে খেলে খুদা কমাতে সাহায্য করে এবং বেশি খাওয়া থেকে বিরত রাখে। এটি খাবারের পর পরিপাক প্রক্রিয়া উন্নতকর এবং গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। খাবারের 15 থেকে 20 মিনিট আগে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার পানিতে মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে আসে এবং শরীরের ক্যালরি গ্রহন ও কম হয়।
বিকেলে শক্তি পুনরুদ্ধারের জন্যঃ দিনের মাঝখানে বিশেষ করে বিকেলের দিকে ক্লান্তি অনুভূত হলে এক গ্লাস পানি এবং এক চা চামচ ভিনেগার খেলে শক্তি ফিরে আসতে পারে। ভিনেগারের এনজাইম ও প্রোবায়োটিক উপাদান শরীরকে পুনর্জীবিত করতে সাহায্য করে এবং মানসিক ফোকাস বাড়ায়। এটি ক্লান্তি দূর করে এবং সারা দিনের কাজের জন্য মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করে।
ঘুমের আগে হজমের জন্যঃ ঘুমানোর আগে আপেল সিডার ভিনেগার গ্রহণ হজমের প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। রাতের খাবার খাওয়ার পর এটি পান করলে খাবার হজম ভালো হয় এবং রাতে পেটে অস্বস্তি বা ফোলা ভাব কমে যায়। তবে এক্ষেত্রে রাতে মাত্রা কম রেখে পান করা উচিত যেন ঘুমের কোন সমস্যা না হয়।
শরীরের পানি শূন্যতা পূরণেঃ গরমের দিনে বা বেশি শারীরিক পরিশ্রমের পরে শরীর পানি শূন্য হয়ে গেলে এক গ্লাস পানির সাথে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এবং সামান্য লবন মিশিয়ে পান করলে শরীরের ইলেকট্রোলাইট পুনরায় স্থাপন হতে পারে। এটি শরীরে তাজা ভাবানে এবং হাইড্রেশন ধরে রাখতে সহায়তা করে। এটি খেলে পারমিশূন্যতা দূর হয় এবং শরীরের কার্যক্ষমতা বজায় থাকে।
ওয়ার্ক আউট এর আগে বা পরেঃ ওয়ার্কআউটের আগে বা পরে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং পেশির ক্লান্তি কমাতে সহায়তা করে। এতে থাকা পটাশিয়াম ও এনজাইম বেশি পুনঃনির্মাণ সহায়ক ভূমিকা রাখে। ওয়ার্কার আগে এটি খেলে শক্তি বাড়ে এবং পরে খেলে ক্লান্তি দূর হয়।
আপেল সিডার ভিনেগার এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য উপকারিতা, আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য উপকারিতা জন্য জনপ্রিয় হলেও এটি অতিরিক্ত পরিমাণে বা সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এর মধ্যে দাঁতের ক্ষতির পেটের সমস্যা ও রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। নিচে আপেল সিডার ভিনেগারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হলো।
দাঁতের এনামেল ক্ষয়ঃ আপেল সিডার ভিনেগার অ্যাসিটিক অ্যাসিড থাকে যা দাঁতের এনামেল বা আবরণ ক্ষয় করতে পারে। এ কারণে দাঁতের সংবেদনশীলতা বাড়ে এবং দীর্ঘমেয়াদে দাঁত দুর্বল হতে পারে। ভিনেগার পান করার পর ভালোভাবে পানি দিয়ে কুলি করলে এবং স্ট্রং ব্যবহার করে পান করলে ক্ষতি কমানো সম্ভব। তবে নিয়মিত এবং অতিরিক্ত পরিমাণে আপেল সিডার ভিনেগার খেলে দাঁতের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।
রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়াঃ আপেল ফিডার ভিনেগার খাওয়া শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কমাতে পারে যা হাইপো ক্যালিমিয়া নামে পরিচিত। পটাশিয়ামের অভাবের কারণে পেশীর দুর্বলতা অস্থিরতা এবং হৃদ স্পন্দনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যারা নিয়মিত আপেল সিডার ভিনেগার খাচ্ছেন তাদের জন্য এই ব্যাপারটি খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
গলায় জ্বালাপোড়া কষ্টঃ আপেল সিডার ভিনেগারের অতিরিক্ত এসিডিক প্রভাব এর কারণে এটি সরাসরি পান করলে গলায় জ্বালাপোড়া বা কষ্ট হতে পারে। অ্যাসিডিক প্রভাব গলা টিস্যুকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে তাই ভিনেগার সব সময় পানি দিয়ে মিশে খাওয়া উচিত এবং এ ছাড়া স্ট্র ব্যবহার করে পান করা যেতে পারে যাতে এটি সরাসরি গলায় সংস্পর্শে আসে।
পেটের সমস্যা ও অম্বলঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পেটের জন্য উপকারী হলে অতিরিক্ত ক্ষেত্রে অম্বল এবং এসিডিটি সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে খালি পেটে পান করলে অনেকের পেটে জ্বালা ভরা এবং অস্বস্তি হতে পারে আর যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে তাই অতিরিক্ত না খেয়ে নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে এটি গ্রহণ করা উচিত এবং সবসময় পানি দিয়ে মিশিয়ে পান করা ভালো।
ত্বকের ক্ষতিঃ অনেকে ত্বকের সমস্যা নিরাময়ের জন্য আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করেন। তবে এটি সরাসরি ত্বকে লাগালে ত্বক পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে বিশেষ করে সংবেদনশীল ত্বকে। এসিডিক প্রভাবের কারণে ত্বকে জ্বালাপোড়া বা লালচে ভাব হতে পারে। তাই সরাসরি ব্যবহার না করে মিশ্রণ করে এবং অল্প পরিমাণে ত্বকে পরীক্ষা করে ব্যবহার করা উচিত।
রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়াঃ অনেকে রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ওষুধ গ্রহণ করেন। আপেল সিডার ভিনেগার এ ধরনের ওষুধের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলতে পারে এবং এটি রক্তের গ্লুকোজ এবং পটাশিয়ামের মাত্রা পরিবর্তন করে যা ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে ও তাই যারা ওষুধ নিয়মিত সেবন করেন তাদের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ অনুযায়ী আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া উচিত।
ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম
আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য উপকারিতা, ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার জনপ্রিয় প্রাকৃতিক উপাদান। এর মধ্যে থাকা এসিডিক অ্যাসিড শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে এবং ক্ষুধা কমাতে সহায়ক এবং ওজন কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তবে সঠিক পদ্ধতিতে এবং নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া প্রয়োজন কারণ অতিরিক্ত ভিনেগার গ্রহণের জন্য শরীর ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
সকালে খালি পেটে শুরু করাঃ সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানির সাথে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খাওয়া ওজন কমানোর একটি বিশেষ কার্যকর উপায়। সকালে খালি পেটে খেলে শরীরের মেটাবলিজম দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে জমে থাকা চর্বি কমাতে সাহায্য করে তবে খালি পেটে খাওয়ার আগে অবশ্যই পানি দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে যাতে এসিডের প্রভাব কমে।
খাবারের আগে ক্ষুধার নিয়ন্ত্রণেঃ প্রতি খাবারের আগে আপেল সিডার ভিনেগার খেলে ক্ষুধা কমে এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে সহায়ক হয়। খাবারের 15 থেকে 20 মিনিট আগে এক গ্লাস পানিতে এক থেকে দু চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে আসে। এই অভ্যাসটি পেটের পরিপূর্ণতা বাড়ায় এবং ক্যালোরি গ্রহণ কমায় যা ওজন কমাতে সহায়ক।
প্রাকৃতিক ডিটক্স হিসেবে ব্যবহারঃ আপেল সিডার ভিনেগার একটি প্রাকৃতিক ডিটক্স হিসেবে কাজ করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়ক। প্রতিদিন সকালে বাড়াতে এক গ্লাস গরম পানির সাথে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এবং সামান্য মধু মিশিয়ে পান করলে এটি শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় চর্বি ও বর্জ্য পদার্থ দূর হয় এবং ওজন কমাতে সহায়ক হয়।
ব্যায়ামের আগে বা পরেঃ ওয়ার্কআউট এর আগে বা পরে আপেল সিডার ভিনেগার পান করলে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। আর কাউকে এটি পান করলে শরীরে এনার্জি আসে এবং ব্যায়ামের সময় বেশি ক্যালরি পড়ানো যায়। আর ব্যায়ামের পরে পান করলে ক্লান্তি দূর হয় এবং শরীর পুনরুজ্জীবিত হয়।
রাতে হালকা খাবারের সাথেঃ রাতে হালকা খাবারের সাথে আপেল সিডার ভিনেগার পান করলে এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং রাতে মেটাবলিজমকে সক্রিয় রাখে। হালকা খাবারের সাথে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার পানির সাথে মিশিয়ে খেলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি জমার প্রবণতা কমে যায়। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শরীর ভালোভাবে বিশ্রাম নিতে পারে।
নিয়মিত কিন্তু পরিমিত পরিমাণে খাওয়াঃ ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার প্রতিদিন নিয়মিত খাওয়া উচিত তবে পরিমিত পরিমানে। দিনে দুই থেকে তিনবার এক থেকে দুই চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। অতিরিক্ত ভিনেগার খেলে দাঁতের এনামেল ক্ষয় এবং গলা বা পেটে সমস্যা হতে পারে তাই পরিমিত মাত্রায় পান করায় সঠিক।
আপেল সিডার ভিনেগার কতটুকু ও কিভাবে খাওয়া উচিত
আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য উপকারিতা, আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য উপকারিতা অর্জনের জন্য পরিমিত এবং সঠিক পদ্ধতিতে গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত ভিনেগার খেলে এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সাধারণ ওজন নিয়ন্ত্রণ হজম প্রক্রিয়া উন্নতকরণ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধির জন্য আপেল সিডার ভিনেগার নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। নিচে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো।
প্রতিদিন ১-২ চা চামচ পরিমাণে গ্রহণঃ স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য সাধারণত প্রতিদিনে এক থেকে দুই চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। দিনে দুই থেকে তিনবারের বেশি না খাওয়াই ভালো এবং এই পরিমাণে গ্রহণ করলে এটি শরীরের জন্য স্মরণীয় থাকে এবং বিভিন্ন উপকারিতা পাওয়া যায় তবে অতিরিক্ত গ্রহণ এড়ানো উচিত কারণ এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পানি দিয়ে মিশিয়ে খাওয়াঃ আপেল সিডার ভিনেগার সরাসরি না খেয়ে পানি দিয়ে মিশিয়ে খাওয়া উচিত। এতে এর এসিডিক প্রভাব কমে এবং এটি শরীরের জন্য কম ক্ষতিকর হয়। এক গ্লাস পানি বা 200 মিলিমিটার পানিতে এক থেকে দুই চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে পান করলে শরীর সহজে শোষিত হয় এবং পেটের সমস্যাও কম হয়।
খালি পেটে খাওয়ার সময়ঃ অনেকে সকালে খালি পেটে আপেল সিডার ভিনেগার খেয়ে থাকেন। খালি পেটে এটি খেলে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণে আসে। খালি পেটে খেলে যাদের গ্যাস্টিক সমস্যা আছে তাদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এক্ষেত্রে সামান্য কিছু খেয়ে নিলে ভালো হয়।
খাবারের আগে খেলে ক্ষুধা কমায়ঃ আপেল সিডার ভিনেগার খাবারের আগে খাওয়া গেলে খুদা কমে এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায়। খাবারের 15-20 মিনিট আগে এক চা চামচ ভিনেগার পানির সাথে মিশিয়ে খেলে এটি খুদা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং খাবারের পর রক্তের শর্করা স্থিতিশীল রাখে। ওজন নিয়ন্ত্রণে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
রাতে হালকা খাবারের সাথেঃ যারা রাতে খাওয়ার পর হজমের সমস্যায় ভোগে তারা রাতে হালকা খাবারের সাথে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হয় এবং রাতে গ্যাস বা পেট হবার সমস্যা কম হয় এবং রাতে অতিরিক্ত পরিমাণে ভিনেগার না হওয়াই ভালো কারণ এটি ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
টপিকাল ব্যবহারঃ আপেল সিডার ভিনেগার কখনো কখনো গলা ব্যথা সংক্রমণ কিংবা ত্বকের যত্নে ট্রপিকাল ব্যবহার করা যেতে পারে। গলা ব্যথার জন্য এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে টপিকাল করা যেতে পারে। ত্বকের জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে তবে সব সময় পানি দিয়ে পাতলা করে নেওয়া উচিত।
আপেল সিডার ভিনেগার কাদের খাওয়া উচিত নয়
আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য উপকারিতা, আপেল সিডার ভিনেগার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য জনপ্রিয় হলেও এটি সবার জন্য উপযুক্ত নয়। কিছু ব্যক্তির জন্য ভিনেগার খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে তবে বিশেষ করে যদি তারা কিছু নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে ভুগে থাকেন। সঠিক জ্ঞান ও সচেতনতা ছাড়া এটি গ্রহণ করলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। নিচে আপেল সিডার ভিনেগার যাদের খাওয়া উচিত নয় তা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগছেন যারাঃ যাদের গ্যাস্ট্রিক বা অম্বলের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আপেল সিডার ভিনেগার এ উচ্চমাত্রায় এসিড থাকে যা পেটের এসিডিটি বৃদ্ধি করতে পারে এবং এর ফলে পেটে জ্বালাপোড়া ফোলা ভাব এবং অস্বস্তি হতে পারে এবং বিশেষ করে খালি পেটে খাওয়া তাদের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ হলুদ গাছের ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা
কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরাঃ আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া কি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে কারণ এতে থাকা এসিড শরীরের জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ কিডনি দিয়ে ছেকে বের করতে কষ্ট দেয়। কিডনির কার্যক্ষমতা যদি কমে থাকে তাহলে এই এসিডিক উপাদান শরীরের ক্ষতি করতে পারে এবং কিডনি রোগীরা এটি থেকে দূরে থাকা উচিৎ বা খাওয়ার আগে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দাঁতের এনামেল ক্ষয়ের সমস্যা আছে যাদেরঃ আপেল সিডার ভিনেগারের এসিডিক প্রভাব দাতের এনামেল ক্ষয়ের কারণ হতে পারে। যাদের দাঁতের এনামেল দুর্বল বা সংবেদনশীল তাদের জন্য এটি জ্বালাপোড়া সংবেদনশীলতা এবং দাঁত দুর্বল করার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে নিয়মিতভাবে ভিনেগার পান করলে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং এর জন্য দাঁতের সমস্যায় যারা ভুগছে তাদের ভিনেগার এড়ানো উচিত।
পটাশিয়াম লেভেল কম যাদের শরীরেঃ আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ফলে রক্তের পটাশিয়ামের মাত্রা কমতে পারে যা কিছু মানুষের শরীরে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যাদের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে এবং তাদের জন্য এটি আরো বেশি বিপদজনক হতে পারে। পটাশিয়ামের অভাবে বেশি দুর্বলতা অস্থিরতা এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যার সম্ভাবনা বাড়ে।
ডায়াবেটিস ঔষধ ব্যবহারকারীরাঃ যারা ইনসুলিন বা ডায়াবেটিসের ওষুধ নিয়মিত গ্রহণ করছেন তাদের জন্য আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া বিপদজনক হতে পারে এবং ভিনেগার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে যারা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী মনে হলে ওষুধের সাথে একটি প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে এবং এর ফলে রক্তের সরকারের মাত্রা অতিরিক্ত কমে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয় এবং স্বাস্থ্যগত জটিলতা আনতে পারে।
গলার বা পাকস্থলী সমস্যা আছে যাদেরঃ গলা বা পাকস্থলীর আলসারের সমস্যায় ভুগছে এমন ব্যক্তিদের জন্য আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে এবং সরাসরি পান করলে এটি গলার সংবেদনশীল শিশুকে ক্ষতি করতে পারে এবং পেটে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে এবং এজন্য গলা বা পাকস্থলী সমস্যা থাকলে এই ভিনেগার খাওয়া উচিত নয়।
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার অপকারিতা
আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য উপকারিতা, আপেল সিডার ভিনেগারের অতিরিক্ত ব্যবহার বা নিয়মিত অতিরিক্ত খাওয়া কিছু অপকারিতা তৈরি করতে পারে নিচে তা আলোচনা করা হলো।
হজমে সমস্যা সৃষ্টি করাঃ আপেল সিডার ভিনেগারের অতিরিক্ত গ্রহনের অনেকের সহজমে সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত ভিনেগার খাবার ফলে হজমে প্রক্রিয়াধীন হয়ে যায় এবং খাবার পাকস্থলীতে দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকে যা অস্বস্তি ফোলা ভাব এবং পেটের গ্যাসের কারণ হতে পারে ফলে পরিপাক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় এবং দীর্ঘমেয়াদি হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দেয়।
পানি শূন্যতা সৃষ্টিঃ ভিনেগার শরীরে পানির মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে কারণ এতে ডিউটেরিক প্রভাব থাকতে পারে। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল বের করে দিতে পারে যার ফলে গলা শুকিয়ে যাওয়া এবং দেহের পানি শূন্যতা হতে পারে এবং তাই ভিনেগার গ্রহণের পর প্রচুর পানি পান করা প্রয়োজন যাতে শরীরে পানির ঘাটতি না হয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের প্রভাবঃ আপেল সিডার ভিনেগার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের প্রভাব ফেলতে পারে। অনেকের জন্য এটি রক্তচাপ কমাতে সহায়ক মনে হলেও যারা ভিন্ন রক্তচাপে ভুগছেন তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে এবং এটি রক্তচাপ কারো কমে দিতে পারে ফলে মাথা ঘোরা দুর্বলতা এবং ক্লান্তির কারণ হতে পারে ফলে যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ।
অতিরিক্ত ক্ষুধা দমনঃ আপেল সিডার ভিনেগার অতিরিক্ত খেলে দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষুধা কমে যেতে পারে যা শরীরের প্রয়োজনে পুষ্টি উপাদান গ্রহণে বাধার সৃষ্টি করে এবং এটি শরীরের মেটাবলিজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং স্থায়ীভাবে ক্ষুধামান্দ তৈরি করে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এর ফলে দীর্ঘমেয়াদী শক্তির ঘাটতি এবং ওজনের কমে যাওয়ার পাশাপাশি পুষ্টির অভাব হতে পারে।
ত্বকের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধিঃ অনেকেই মনে করেন ভিনেগার ত্বকের জন্য অনেক উপকারী কিন্তু অতিরিক্ত বাবা নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বিশেষত উপাদানের কারণে এটি ত্বকের স্বাভাবিক আদ্রতা নষ্ট করে এবং ত্বককে শুষ্ক ও সংবেদনশীল করে তোলে এর ফলে অনেকের ক্ষেত্রে এটি ত্বকের জ্বালাপোড়া চুলকানি বা ফুসকুড়ি তৈরি করতে পারে যা দীর্ঘ মেয়াদে ত্বকের সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে।
লিভারের উপর চাপ বৃদ্ধিঃ আপেল সিডার ভিনেগার এ উপস্থিত উপাদান লিভারের জন্য অতিরিক্ত কাজের চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং বিশেষ করে যারা নিয়মিত মধ্যপন করেন বা যাদের লিভারের দুর্বলতা রয়েছে তাদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে এটি লিভারের কার্যক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে এবং লিভার সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আপেল সিডার ভিনেগার কতদিন খাওয়া যায়
আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য উপকারিতা, আপেল সিডার ভিনেগার দীর্ঘ দীর্ঘমেয়াদে খাওয়া যায় তবে এর পরিমাণ এবং সময়কাল নিয়ে সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ এবং সাধারণত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন ১ থেকে ২-চামচ ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন এবং অতিরিক্ত লেটি স্বাস্থ্য সমস্যা কারণ হতে পারে তাই এটি নিয়মিত ব্যবহারের আগে পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সাধারণত ১ থেকে ২ মাস নিয়মিত খাওয়ার পর কিছুদিন বিরতি নেওয়া ভালো এবং এটি শরীরকে ভিনেগারের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল হতে বাধা দেয় এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এ রাতে সাহায্য করে এবং একবার এক থেকে দুই মাসে কোর্স সম্পূর্ণ করার পর অন্তত দুই সপ্তাহ বিরত দিয়ে আবার প্রয়োজন মনে করলে এটি শুরু করা যেতে পারে এবং এই বিরোতি শরীরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনতে সহায়ক হয়।
দীর্ঘমেয়াদী ভিনেগার খাওয়ার সময় দাঁত গলা ও পাকস্থলীতে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে তাই ব্যবহারের সময় এগুলোর প্রতি যত্নশীল হওয়া জরুরি এবং দীর্ঘ সময় ধরে খেলে মাঝেমধ্যে বিরোধী দিলে শরীরের উপর ভিনেগারের এসিড প্রভাব কম পড়ে এবং ভিনেগার খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং খাদ্যাভাসে বৈচিত্র আনা গুরুত্বপূর্ণ।
আপেল সিডার ভিনেগার দাম কত
আপেল সিডার ভিনেগারের দাম এর ব্র্যান্ড পরিমাণ এবং গুণগত মানের উপর নির্ভর করে। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আপেল সিডার ভিনেগার পাওয়া যায় যা সাধারণ থেকে ৩০০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে এবং ভালো মানের অর্গানিক ব্র্যান্ডের ভিনেগার গুলো সাধারণত একটু দাম বেশি বিক্রি হয়। ব্যাগহাইন্ড এবং ফ্রেশ ফ্রুটের মতো নামকরা ব্র্যান্ডের আপেল সিডার ভিনেগারের দাম অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় বেশি হয় কারণ এগুলোতে প্রাকৃতিক উপাদান এবং ভিনেগারের আসল গুনাগুন বজায় থাকে।
বাজারে ২৫০ মিলিমিটার 500 মিলিমিটার এবং এক লিটার পরিমাণে ভিনেগার পাওয়া যায় এবং ছোট বোতলগুলোর দাম তুলনামূলক কম বা প্রায় 250 থেকে 300 টাকার মধ্যে। বড় বোতলগুলোতে ভিনেগারের পরিমাণ বেশি থাকে বলে দাম ও তুলনামূলক বেশি হয় সাধারণত ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে তবে অনলাইনে মার্কেটে বিশেষ ছাড়ের দাম ভিন্ন হতে পারে।
অনলাইনেও ফার্মেসিতেও এই বিভিন্ন অফারের আপেল দার ভিনেগার পাওয়া যায় যা কিনতে একটু সাশ্রয়ী হতে পারে তবে কেনার সময় উৎপাদন মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ভালো ভাবে দেখে কেনা উচিত।
লেখক এর মন্তব্য
আপেল সিডার ভিনেগার স্বাস্থ্য উপকারিতা, আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার সময় নিয়ে লেখা আজকেরে আর্টিকেলে সমস্ত বিষয়গুলো আপনি বুঝতে পেরেছেন বলে আমি আশা করছি। ওজন কমানোর জন্য আপেল সিটার ভিনেগার যতটা প্রয়োজনীয় ঠিক অতিরিক্ত সেবন করলে এটি আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে এজন্য যেকোন জিনিস খাওয়ার পড়বে সেটার সঠিক ধারণা এবং কতটুকু খাওয়া প্রয়োজন সে বিষয়ে অবশ্যই ধারণা নিয়ে রাখবেন।
পদ্মাম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url