নিমপাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

নিমপাতার উপকারিতাও অপকারিতার দিক


আমাদের সকলের অতি পরিচিত একটি ঔষধি গাছ হচ্ছে নিম গাছ।আয়ুরবেধ শাস্ত্রে নিমকে জাদুকারি পাতা হিসেবে ধরা হয়।চিকিৎসা বিজ্ঞানেও মিলেছে তার বিভিন্ন প্রমান।তবে এই পাতার বিভিন্ন গুনাগুন থাকলেও কারো কারো জন্য এই পাতা বিষের সমান।এই পাতা হচ্ছে  চিরহরিৎ জাতীয় বৃক্ষ।বড় বড় জ্ঞানীরা বলেন নিমগাছের সব কিছুই ব্যাবহার করা দরকার।প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে ৫০০০ বছর আগে থেকেও এই নাম গাছের পাতা ঔষধি ।পাতা হিসেবে ব্যাবহার করে আসছে প্রাচীন কালের মানুষ।এই গাছের পাতাতে রয়েছে ১৩০টি ঔষধের গুনাগুন।

পেজ সূচিপত্রঃ


নিমপাতার উপকারিতা বর্ণনা লিখে শেষ করা যাবে তবে এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে।চলুন জেনে নেওয়া যাক নিমপাতার উপকারিতাও অপকারিতার দিকগুলো-

নিমপাতার উপকারিতাঃ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

নিমের পাতা রোগ প্রতিরোধ করতে অনেক কার্যকারি ভূমিকা পালন করে।নিমপাতাতে রয়েছে আন্টি-অক্সিডেন্ট।প্রতিদিন সকাল বেলায় কয়েকটা নিমপাতা গুড়া করে  এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

ওজন কমায়

নিমের ফুলে ওজন কমানোর অসাধারন ক্ষমতা রয়েছে।এই ফুল শরীরে মেটাবিলজম  বাড়ায় এবং আমাদের শরীরে যে অতিরিক্ত চর্বি  রয়েছে সেটাও দূর  করতে সাহায্য করে।বিশেষ করে তলপেটে যে চর্বি রয়েছে সেটা একেবারেই কমিয়ে দেইয়।এক মুঠো নিম ফুলের গুড়ার সাথে এক চামচ মধু এবং লেবুর মিশিয়ে  সেটা প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলে আমাদের  শরীরের অনেক খানি ওজন কমে যাবে।

ভাইরাস প্রতিরোধ করে

প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে নিমগাছের পাতা ভাইরাস রগ প্রতিরোধে ব্যাবহার হয়ে আসছে।নিমপাতা রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রন করে থাকে।এই নিমপাতা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য বেশি উপকারী।নিয়মিত নিমের পাতার তৈরি বিভিন্ন ক্যাপস্যুল ম্যালেরিয়া ডেঙ্গু আরও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ কাজে বেশি ব্যাবহার করা হয়ে থাকে ।

এলার্জি প্রতিরোধ করে

এলার্জির সমস্যায় নিমপাতা পানির সাথে ফুটিয়ে ওই পানি দিয়ে গোসল করলেই এলার্জির সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।এবং নিমপাতার ফুলও হলুদের পাতা বেঁটে একসাথে শরীরে লাগিয়ে নিলে এলার্জি রোগ ঠিক হয়ে যাবে।

চর্মরোগ নিরাময় করে

নিমপাতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে গোসল করলে খোসাপচড়া দূর হয়ে যায়।পাতা বাহ ফুল বেঁটে শরীরে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়ে যায়।নিমপাতার সাথে সামান্য কাঁচা হলুদ বেটে ৭-১০ দিন প্রলেপ আকারে ব্যাবহার করলে ব্রুনও চুলকানি আর পুরানো ক্ষতের উপশম হয়ে।

আমারা জানলাম নিমপাতা কি কি কাজে লাগে আর নিমপাতার উপকারিতা কি কি  এবার আসুন আমরা জেনে নিই নিমপাতার অপকারিতার কি কি দিক রয়েছে।

নিমপাতার অপকারিতাঃ

  • নিমপাতা একসাথে বেশি দিন খেলে অনেক সময় বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।একসাথে অনেক নিমপাতা না খাওয়া বাহ ব্যাবহার না করাই সব থেকে ভালো।
  • নিমপাতার রস খাওয়ার সময় যদি বমি বমি ভাব বাহ বমি হয়ে যায়। আর সেই সমস্যায় যদি প্রত্যেক বার হয় তাহলে নিমপাতা খাওয়া বন্ধ করতে হবে ।
  • গর্ভবতী মহিলাদের এই পাতা সব সময় এড়িয়ে চলা উচিত কারন এই নিমপাতা খাওয়া তার গর্ভপাতের কারন হয়ে দাড়াতে পারে ।
  • শিশুদের জন্য নিমপাতা উপযুক্ত নয় কারন নিমপাতার মধ্যে রয়েছে রে-সিন্ড্রোমের অনেক গুলো উপসর্গ যা শিশুদের শরীরে গেলে অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে শিশুরা ।
  • যেসব বাক্তিদের নিম্ন-রক্ত চাপ রয়েছে তাদেরকে এই নিমপাতা এড়িয়ে চলা দরকার ।
  • দিনে ২-৩ তিনটা নিমপাতা খাওয়া দরকার এর বেশি খেলে অপকারিতা হবে ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মাম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url