হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি? আমরা অনেকেই জানিনা। কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য হাতিশুর গাছের শিকড় গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। উপকারিতা এবং অপকারিতা জানার পরে হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিতে হবে।
হাতিশুর গাছের শিকড় এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। খাওয়ার আগে হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি? ভালোভাবে জেনে তারপরে খাওয়া উচিত। এছাড়া হাতিশুর গাছের শিকড় ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
- হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম
- হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার উপকারিতা
- হাতিশুর গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়
- হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার অপকারিতা
- হাতিশুর গাছ কোথায় পাওয়া যায়
- হাতিশুর গাছের পাতার উপকারিতা
- হাতিশুর গাছের মূল খাওয়ার উপকারিতা
- হাতিশুর গাছের পাতার অপকারিতা
- লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা
- আমাদের শেষ কথা
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি? আমরা অনেকেই হাতিশুর গাছের শিকড় খেয়ে থাকি। এই গাছটি ওষুধি গুন সম্পূর্ণ হওয়ায় বিভিন্ন রোগে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেয়া যাক হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো
- এই গাছের পাতা পেটে রস করে হালকা করে গরম করে শরীরে ফোলা জায়গা ব্যবহার করা যায়। মূলত শরীরে কোন গরম জায়গা চলে গেলে গাছের পাতা রস করে হালকা গরম করে ফোলা জায়গায় স্থানেরও করতে হবে।
- এছাড়াও শরীরের ব্যথা জনিত স্থানে হাতিশুর কাছে শিকড় ব্যবহার করা যেতে পারে। এজন্য এ গাছের পাতা পেটে রস করে ব্যথা জড়িত স্থানে ভালোভাবে মালিশ করা হয়।
- শরীরে যদি কখনো পোকা কামোর দিয়ে থাকে তাহলে জ্বালাপোড়া কমাতে হাতিশুর গাছের পাতা রস করে লাগালে জ্বালাপোড়া ও ফোলা কমে যায়
- যদি কারো টাইফয়েড জ্বর হয়ে থাকে তাহলে পাতা বেটে রস করে গরম করতে হবে এবং গরম করার পর রস থেকে পানি মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।
- হাতিশুর গাছের খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী সকালে এই গাছের পাতা রস ছেঁকে গরম করে খাওয়া যেতে পারে
- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হাতি শুরুর কাছে শিকড় খাওয়া যেতে পারে। এর জন্য প্রথমে ২৫০ গ্রাম পানি পান করতে হবে তারপর দুই ইঞ্চি পরিমাণ শিকড় মধুর সাথে মিশিয়ে চিবিয়ে রস করে খেতে হবে। শিকড়ের ছাল ফেলে দিতে হবে। শিকড় খাওয়ার পর এক ঘন্টার মধ্যে কোন খাবার গ্রহণ করা যাবে না।
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার উপকারিতা
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি? এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। যেহেতু আমরা অনেকে হাতে সুর কাছে শিখর খেয়ে থাকি। তাই আমাদের এই বিষয়গুলো জেনে রাখা জরুরী। বিভিন্ন খাবার রয়েছে যেগুলো আমরা খাই কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারনা নেই। যে কোন খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই সে খাবার সম্পর্কে ধারণা নিয়ে না বুদ্ধিমানের কাজ।
প্রথমে আমরা হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানব। প্রতিটি খাবারের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে আবার অপকারিতা রয়েছে। যেহেতু আমরা উপকারিতা গুলো গ্রহণ করি এবং অপকারিতা গুলো ত্যাগ করে তাই প্রথমে হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জেনে নেব।
- যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে
- জ্বর ও কাশি নিরাময় করে
- দাঁতের মাড়ি ফোলা কমায়
- সর্দি কাশি দূর করে
- ক্ষত নিরাময়ে সহায়ক
যৌন শক্তি বৃদ্ধি করেঃ যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে হাতিশুর গাছের শিকড় একটি প্রাকৃতিক উপায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হাতিশুর গাছের শিকড় চিবিয়ে খাওয়া শরীরের যৌন দুর্বলতা কমাতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। ২ ইঞ্চি ঘর মধুর সাথে মিশিয়ে সেবন করলে এটি রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে যার যৌন ক্ষমতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে নিয়মিত ব্যবহারে শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি কমে যায়।
জ্বর ও কাশি নিরাময় করেঃ জ্বর ও কাশি নিরাময়ে হাতিশুর গাছের শিকড় ক্বাথ অত্যন্ত কার্যকর। থেকে তৈরীর ক্বাথ শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে ফলে জ্বর দ্রুত উপশম হয। এক টুকরো শিকড় ফুটানো পানিতে সিদ্ধ করে ক্বাথ তৈরি করা হয় চার দিনে দুই থেকে তিনবার সেবন করলে কাশি এবং শ্বাসকষ্ট প্রশমিত হতে পারে। এই প্রাকৃতিক ক্বাথ বিকাশ বা কম পরিষ্কার করে শ্বাসনালিকা মুক্ত করে দেয়।
দাঁতের মাড়ি ফোলা কমায়ঃ দাঁতের মাড়ির ফোলা বাপ্রদাহ কমাতে হাতিশুর গাছের শিকড় বেশ কার্যকর। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাবলী দাঁতের মাড়িতে সৃষ্ট প্রদাহ দূর করে এবং ব্যথা প্রশমিত করে। এক টুকরো শিকড় চিবিয়ে শিকড়ের রস মাড়িতে ছড়িয়ে দিলে মাড়ির ফোলা ভাব লালচে ভাব ধীরে ধীরে কমে যায়। এতে মাড়ির সংক্রমণ কমে এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে।
সর্দি কাশি দূর করেঃ হাতিশুর গাছের শিকড় সর্দি ও কাশি দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। এর শিকড়ের রসে থাকা প্রাকৃতিক গুনাগুন শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। কাশি নাশক হিসেবে কাজ করে।
শিকড়ের রস শ্বাসকষ্ট ঠান্ডা লাগা এবং সর্দির উপসর্গকে কমাতে সহায়তা করে। এই শিকড়ের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ক্ষত নিরাময়ে সহায়কঃ হাতিশুর গাছের শিকড় ক্ষত নিরাময়ের সহায়ক একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এই শিকড়ে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণগুলি ক্ষত সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং নিরাময় করে। প্রাচীন সময় থেকে এই শিকড়ের রস ক্ষতের উপর লাগিয়ে ব্যবহৃত হয় যা প্রদাহ কমা এবং ত্বকের স্বাভাবিক পূর্ণ গঠনকে সমর্থন করে।
হাতিশুর গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কি হয়
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি? এ বিষয়ে আমাদের জানা হয়ে গেছে এখন আমরা জানবো হাতিশুর গাছের শিকড় কোমরে বাঁধলে কি হয়। হাতিশুর গাছের শিকড় কোমরে বাধলে কিছু প্রাচীন বিশ্বাস ও প্রথা অনুযায়ী উপকারিতা হতে পারে। সাধারণভাবে এটি কিছু স্বাস্থ্যকর সুবিধা প্রদান করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ লেবুর ১৫ অপকারিতা ও অপকারিতা
হাতিশুর গাছের শিকড় শক্তি বাড়াতে সহায়ক হতে পারে যা শারীরিক শক্তি এবং স্থিতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। কোমরে শিকড় বাধলে কিছু মানুষ ব্যথা কমানোর জন্য এটি ব্যবহার করে থাকেন। হাতিশুর কাছে শিকড় কোমরে বাধলে বিভিন্ন প্রাচীন বিশ্বাস প্রথা অনুযায়ী কিছু সম্ভাব্য সুবিধা রয়েছে। অনেকের মতো এটি শরীরের শক্তি বাড়াতে সহায়ক হতে পারে যা শারীরিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কিছু সংস্কৃতিতে মনে করা হয় যে কোমরের শিকড় বাধলে তার নেগেটিভ ব্যানার্জি বা অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করে। এছাড়া কোমরের ব্যথা বা অস্বস্তি কমাতে এটি ব্যবহার করা হয় হাতিশুর গাছের শিকড় ব্যবহার করার আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার কারণ বিভিন্ন ব্যক্তির জন্য বিভিন্ন ফলাফল হতে পারে হাতিশুর এর শিকড়।
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার অপকারিতা
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি? এ বিষয়ে আলোচনা করছি আমদের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। অনেক সময় উপকারিতা জেনে আমরা যে কোন খাবার খেয়ে ফেলি কিন্তু যে খাবার উপকারিতা রয়েছে তার কিছু অপকারিতা রয়েছে এ বিষয়ে আমাদের অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে।
হাতিশুর গাছের শিকড় যেমন ঔষধি গুন রয়েছে তেমনি এর অপকারিতা রয়েছে যা সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে ক্ষতিকর হতে পারে। ভেষজ উপাদানগুলি প্রাকৃতিক হলে অতিরিক্ত বা অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত মাদ্রাসা এবং শরীরের বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।
অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন শরীরে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। হাতিশুর এর শিকড়ে কিছু বায়ো একটিভ উপাদান রয়েছে যা শরীরের প্রয়োজনের বেশি হলে বিশক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। পেটের সমস্যা এবং হজমের জটিলতা তৈরি করতে পারে।
হাতিশুর গাছ কোথায় পাওয়া যায়
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি? এ বিষয়ে জেনেছি এখন আমরা জানবো হাতিশুর গাছ কোথায় পাওয়া যায়। হাতিশুর গাছ যা আয়ুর্বেদিক ও প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলে সহজে পাওয়া যায় এটি নিম্নে লিখিত স্থানে পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার ১০ উপকারিতা ও অপকারিতা
বাংলাদেশঃ হাতিশুর গাছ দেশের প্রায় সব অঞ্চলে পাওয়া যায় বিশেষত গ্রামের পথের ধারে ও জমিতে এবং ফসলের মাঠে।
ভারতঃ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ আসাম ওড়িশার মতো পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে এই গাছ প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। এছাড়াও দক্ষিণ ভারতের কিছু এলাকায় ও গাছ পাওয়া যায়।
নেপাল ও ভুটান: হিমালয় অঞ্চলের নিচু পাহাড়ি এলাকায় হাতিশুর গাছ সহজে জন্মায়।
শ্রীলংকা ও পাকিস্তানঃ দক্ষিণ এশিয়ারের দেশগুলোতে ও হাতিশুর গাছ পাওয়া যায় বিশেষত গরম ও আদ্র এলাকায়। সাধারণত বন্য প্রকৃতিতে বৃদ্ধি পায় এবং রাস্তার ধারে বা জঙ্গলে বেশি দেখা যায়।
হাতিশুর গাছের পাতার উপকারিতা
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি? আপনাদের জানা হয়ে গেছে এখন আমরা জানবো হাতিশুর গাছের উপকারিতা কোনগুলো হতে পারে। হাতিশুর গাছের পাতা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় বহু বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর পাতা বিভিন্ন ওষুধে গুণের জন্য পরিচিত এবং স্বাস্থ্য রক্ষা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। হাতে সুরের পাতায় এন্টিব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ফাংগাল গুণ রয়েছে।
হাতিশুর পাতা প্রদাহ কমাতে বিশেষভাবে উপকারী। এর এন্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ শরীরের বিভিন্ন অংশের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। পাতা চূর্ণ করে বা পেস্ট তৈরি করে প্রদাহ যুক্ত স্থানে লাগালে তার দ্রুত আরাম দেয়। বাতের ব্যথা বা গাটে প্রদাহ জনিত সমস্যায় এই পাতা প্রাকৃতিক ব্যথা উপশমকারী হিসেবে কাজ করে।
হাতিশুরের পাতা ত্বকের সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ যেমন একজিমা ফোড়া বা ত্বকের ফাংগাল ইনফেকশন নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। পাতা চূর্ণ বা পেস্ট করে সংক্রমিত স্থানে প্রয়োগ করলে তাকে সমস্যা দ্রুত সেরে যায় এবং চুলকানি কমে। হাতের পাতা পেটের গ্যাস বদহজম পেট ব্যথা নিরাময়ে কার্যকর।
হাতিশুর গাছের মূল খাওয়ার উপকারিতা
হাতিশুর এর মূল প্রাকৃতিকভাবে জ্বর কমাতে সহায়তা করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবহৃত হয় এবং জ্বরের উপসর্গ কমিয়ে দেয়। প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্রে এটি একটি প্রাকৃতিক জ্বর নাশক হিসেবে ব্যবহার করা হতো যা শরীরকে ঠান্ডা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
হাতিশুর এর মূল ডায়রিয়া ও অন্যান্য পেটের রোগ নিরাময়ের সহায়তা করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে অন্তরের সংক্রমণ কমাতে সহায়ক ডায়রিয়া সমস্যার জন্য কার্যকর। মুলের নির্যাস অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ভারসাম্য রক্ষা করে এবং সংক্রমণ কমায় সবমিলিয়ে হাতিশুর গাছের মূল বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে শরীরের বিভিন্ন রোগের কার্যকর।
হাতিশুরের মূলের এন্টি ইনফ্লামেটেরি প্রদাহ কমাতে কার্যকর। মূলের নির্যাস সমস্যা নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। বিশেষত যখন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত সেবনে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং পেটের অন্যান্য সমস্যা ও সমাধান হয়।
হাতিশুর গাছের পাতার অপকারিতা
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি? আমরা উপরে জেনেছি লেখা গুলো থেকে এখন আমরা জানবো হাতিশুর গাছের পাতার অপকারিতা। অতিরিক্ত মাত্রায় হাতিশুর এর পাতা সেবন করলে হজমে সমস্যা হতে পারে। পাতার নির্যাস হজমের জন্য উপকারী হলেও অতিরিক্ত সেবনে পেটে অস্বস্তি ডায়রিয়া বদহজম দেখা দিতে পারে। কিছু লোকের জন্যই পাতার প্রাকৃতিক উপাদান গুলি শরীরের জন্য সহনীয় নাও হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের দাঁত উঠার ১০ লক্ষন
হাতিশুর এর পাতা নির্যাস বা পেস্ট এ কিছু লোকের অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন ত্বকে সরাসরি প্রয়োগ করলে বা সেবন করলে চুলকানি বা ত্বকের লাল যে ভাব দেখা দিতে পারে। এমনকি গুরুতর এলার্জি জনিত সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্ট বা গলা ফুলের মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
অনিয়ন্ত্রিত ও দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার লিভার ও কিডনির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যে কোন প্রাকৃতিক ওষুধে অতিরিক্ত ব্যবহার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোতে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে। হাতিশুর এর ক্ষেত্রেও এ ঝুঁকি থেকে যায় বিশেষত যদি দীর্ঘমেয়াদে সঠিক মাত্রা ছড়িয়ে ব্যবহার করা হয়। হাতিশুর গাছের পাতা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরী।
লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা
লজ্জাবতী গাছ যা , মিমোসা পোডিকা নামে পরিচিত আয়ুর্বেদিক প্রাকৃতিক চিকিৎসা দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর শিকড়ের বিভিন্ন ঔষধি গুণ রয়েছে যা স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে প্রদাহ সংক্রমণ পেটের সমস্যার জন্য লজ্জাবতীর শিকড় ব্যবহার করা হয়।
লজ্জাবতী গাছের শিকড় ক্ষত নিরাময়ের সহায়তা করে। শিকড়ের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে যা ত্বকের ক্ষত বা সংক্রমণ নিরময়ে কার্যকর। কোন ক্ষত বা আঘাতের স্থানে প্রয়োগ করলে দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করে। প্রতিষ্ঠানে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে এবং এটি সংক্রমণ কমায় এবং ত্বককে দ্রুত নিরাময় করে।
লজ্জাবতী শিকড় রক্তক্ষরণ কমাতে সহায়তা করে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এটি বিশেষত রক্তপাত বন্ধ করার জন্য ব্যবহৃত করা হয়। সূর্য কোথাও আলো জনিত রক্তক্ষরণ হলে লজ্জাবতী শিকড়ের পেস্ট প্রয়োগ করা হয় যা রক্তপাত দ্রুত বন্ধ করে একটি শক্তিশালী উপাদান যা এটার সমস্যা প্রদাহ ও ত্বকের ক্ষতসহ নানা সমস্যার সমাধানে প্রাকৃতিকভাবে সহায়তা করে।
আমাদের শেষ কথা
হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি? এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করে হাতিশুর কাছে শিকড় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি হাতিশুর গাছের শিকড় খেয়ে থাকেন এবং এই সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল আপনার জন্যই। এখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু হাতিশুর গাছের শিকড় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।আশা করি আপনারা এখান থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন ।
এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল যদি আরো পড়তে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
পদ্মাম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url