এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো - এলার্জি দূর করার উপায়
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো? সাধারণত যাদের এলার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। এর কারণ হলো বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলোতে এলার্জি জনিত সমস্যা বেড়ে যায়।
আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অবশ্যই এলার্জি জনিত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। এবং নিজের ও পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এ বিষয়ে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পেজ সূচিপত্রঃ এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো - এলার্জি দূর করার উপায়
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো? বিষয়টি সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ জানে না কোন খাবারের মধ্যে এলার্জির সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে আপনি যদি কোন খাবারের প্রতি এলার্জি জনিত সমস্যা থাকে অর্থাৎ কোন খাবার খেলে এলার্জির সমস্যা দেখা যায় তাহলে আপনাকে আগে থেকে রাখতে হবে সে খাবার কোনগুলো।
আরো পড়ুনঃ লেবুর ১৫ উপকারিতা ও অপকারিতা
দুধঃ দুধ এলার্জি শরীরে ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা সৃষ্টি করে। সাধারণত গরুর দুধের প্রোটিনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ঘটে যাওয়া অনেকের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
গমঃ গম এলার্জি গুল্টনের কারণ হয় যা মানুষের জন্য বিপজ্জনক। এটি শরীরে পেটের ব্যথা, ডায়রিয়া, ফোলা ভাব এবং ক্লান্তির মতো লক্ষণ সৃষ্টি করে। সিলিয়াক ডিজিজের রোগীদের জন্য এটি বিশেষত মারাত্মক হতে পারে।
ডিমঃ ডিমের এলার্জি সাধারণত ডিমের সাদা অংশের প্রোটিনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ঘটে। এটি ত্বকে ফুসকুড়ি এবং পেটে ব্যথা শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা তৈরি করতে পারে।
সয়াঃ অনেক শিশুদের ক্ষেত্রে স্বায়া থেকে এলার্জি সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তবে এইসব এলার্জি শিশুদের একটা নির্দিষ্ট বয়স হওয়ার পরে কমতে শুরু করে দেয়।
বাঁদরের মধ্যে এলার্জি থাকাঃ বাদামের মধ্যে এলার্জি সাধারণত পিনার্ট এবং ট্রি নাটের কারণে ঘটে
যাদের অ্যালার্জি আছে তারা যদি বাদাম খায় বাদাম খাওয়ার পরে তাদের পেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়া শুরু হতে পারে।
সামুদ্রিক মাছঃ সামুদ্রিক মাছের এলার্জি, বেশ কিছু মানুষের মধ্যে সাধারন সমস্যা। সামুদ্রিক এলার্জি থাকলে এদের এড়িয়ে চলা এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই
কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই? সাধারণত এ বিষয়টি সম্পর্কে অনেকে জানতে চাই। বিশেষ করে যাদের আগে থেকে এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে এবং বেশ কিছু খাবার খাওয়ার পরে তাদের এলার্জি সমস্যা আরো বেড়ে যায়। যে খাবার গুলোর মধ্যে এলার্জি সমস্যা থাকে না সাধারণত খাবারগুলো খাওয়া আমাদের উচিত।
কলাঃ কলা এলার্জির জন্য সাধারণত নিরাপদ এবং অধিকাংশ মানুষের জন্য নিরাপদ খাবার কলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ৬ এবং ফলেট রয়েছে যা শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কলা পটাশিয়ামের ভালো উৎস যা হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
লেবুঃ লেবু একটি পুষ্টিকর ফল যা ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অ্যান্টিওক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। লেবুতে উপস্থিত সাইট্রিক এসিড শরীরের পচনতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
শসাঃ শসা একটি হালকা এবং পুষ্টিকর সবজি যা ৯৫ % পানি দিয়ে তৈরি। এতে কম ক্যালরি এবং উচ্চফাইবার রয়েছে যা হজমে সহায়তা করে। বিভিন্ন ভিটামিন থাকে শসার মধ্যে যেমন ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম রয়েছে যা শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য উপকারী।
গাজরঃ গাজর একটি পুষ্টিকর শাকসবজি যা বিশেষত বিটা ক্যারোটিনের জন্য পরিচিত যার শরীরে ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়। এটি দৃষ্টি শক্তি উন্নত করে এবং গাজরে উচ্চ সাইবার থাকায় এটি পেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আদা চাঃ আদা চা একটু সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর পানীয় যা আদা পানি এবং প্রয়োজনে দুধ বা মধুর সংমিশ্রণে তৈরি হয়। এটি ঠান্ডা এবং কাশি উপশমের কার্য করে এবং হজমের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
এলার্জি জাতীয় সবজির তালিকা
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো? এ বিষয়ে সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করে এসেছি। সাধারণত আমরা আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সবজি খেয়ে থাকি। তবে বিভিন্ন সবজির মধ্যে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা দেখা যায়। । যদি অতিরিক্ত সবজি খেয়ে থাকে কেউ এবং এলার্জি সমস্যা থাকে তাহলে কোন সবজির মধ্যে এলার্জি রয়েছে সে বিষয়টি জেনে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার ১০ উপকারিতা ও অপকারিতা
আমাদের শরীরের মধ্যে যদি ক্ষতিকর কোন বস্তু থাকে তাহলে সেটিকে প্রতিরোধ করার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চেষ্টা করতে থাকে। সাধারণত এই প্রতিক্রিয়াকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলা হয়। সাধারণত ক্ষতিকর নয় এ ধরনের বস্তুর প্রতি শরীরে যে অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে তাকে এলার্জি বলে।
- পুঁইশাক
- বেগুন
- শিম
- কদু
- গাজর
- টমেটো
- ফুলকপি
- লাল আলালু
- বাঁধাকপি
- কুমড়া
- পেঁপে
- পালং শাক
এলার্জি সমস্যা কমানোর উপায়
এলার্জি সমস্যা অনেকের জন্য একটি সাধারণ কিন্তু বিরক্তিকর অভিজ্ঞত। এলার্জির বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে যেমন ধুলা, পোলেন এবং খাবারের উপাদান। এলার্জি প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ করার প্রথম ধাপ হলো এলার্জেন যে উপাদানগুলো থেকে এলার্জি হয় সেগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখা।
- ঘর নিয়মিত পরিষ্কার রাখা বালিশ ও বিছানা চাদর নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা কারণ এই ধরনের এলার্জেন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করা বিশেষত্ব ধুলাবালির সময় প্রয়োজন হতে পারে।
- এলার্জির সমস্যা কমাতে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিহিস্টামিন বা অন্যান্য এলার্জি প্রতিরোধক ওষুধ গ্রহণ করা উচিত। বিশেষত যারা ধুলা বা পোলেনের জন্য আক্রান্ত হন তারা ঋতু পরিবর্তনের সময় এ ধরনের ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন যদি এলার্জি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয় তাহলে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
- প্রাকৃতিক উপায়ে ও এলার্জি দূর করা সম্ভব উদাহরণস্বরূপ মধু আদা এবং হলুদ এলার্জি প্রতিরোধ সহায়ক হতে পারে এগুলো ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে যার শরীরকে এলার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
- এলার্জি সমস্যা কমানোর জন্য আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন আনা। নিয়মিত শরীর চর্চা করা পর্যাপ্ত ঘুমানো এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে পারে যা এলার্জির প্রভাব কমাতে সহায়তা করে।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাও গুরুত্বপূর্ণ কারণ শরীর হাইড্রেটেড থাকলে এলার্জির কারণে হওয়া শুষ্কতা এবং অস্বস্তি কমে। এছাড়া মৌসুমী এলার্জি সমস্যার ভুলে বাড়ির জানালা বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
- শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বেশি ব্যবহার করলে বাতাসের ভিতরে থাকা ধুলাবালি এবং পোলেন ফিল্টার করা যায় এলার্জির ঝুঁকি কমায়। এছাড়া ঘরবাড়ি চার পাশে থাকা গাছপালা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত কারণ গাছের পোলেন অনেকের জন্য এলার্জির কারণ হতে পারে।
এলার্জি হলে কোন খাবার খাওয়া নিষেধ
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো? বিষয়টি সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। এলার্জি হলে কিছু খাবার খাওয়া নিষেধ কারণ সেগুলো শরীরে এলার্জির প্রতিক্রিয়া বাড়িয়ে দিতে পারে। দুধ ও দুগ্ধ জাত খাবার অনেকের সমস্যা তৈরি করে। দুধে থাকা প্রোটিন যেমন কেসিন ও ল্যাকটোজ কিছু মানুষের শরীরে এলার্জি সৃষ্টি করে। এতে পেট ব্যথা চামড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডিম ও সামুদ্রিক খাবার এলার্জির একটি সাধারন উৎস। ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোটিন অনেকের শরীরে এলার্জি প্রতিক্রিয়া ঘটায়। একইভাবে চিংড়ি ও অন্যান্য সেলফিস থেকে এলার্জি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সামুদ্রিক খাবার জনিত এলার্জি অনেক সময় গুরুতর হতে পারে। যারা দুধের এলার্জিতে ভোগেন তাদের আইসক্রিম এড়িয়ে চলা উচিত।
বাদাম ও গম এলার্জির আরেকটি বড় উৎস। চীনা বাদাম ও কাঠবাদাম এলার্জি প্রায়শই মারাত্মক হয় যার ফলে এনাফাইলাক্সিসের মতো গুরুতর প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সোয়া ও গম অনেকের জন্য এলার্জি সৃষ্টিকারী। বিশেষ করে যাদের গ্লুটেন এলার্জি আছে তাদের জন্য গমজাত খাবার বিপদজনক হতে পারে।
এলার্জি হলে কোন খাবার খাওয়া যাবে
এলার্জি হলে কিছু খাবার নিরাপদ ও সহনশীল থাকে যার শরীরে এলার্জি প্রতিক্রিয়া বাড়ায় না। তাজা ফল ও শাকসবজি খাওয়া উপকারী হতে পারে। যেমন আপেল কলা নাশপাতি গাজর ও শসা সাধারণত এলার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না এবং এগুলো শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
শাকসবজি ও ফল গুলোর মধ্যে ভিটামিন সি থাকার কারণে এগুলো অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি হিসেবে কাজ করে যা এলার্জির লক্ষণ কমাতে সহায়ক। পূর্ণস্যজাত খাবার যেমন ব্রাউন রাইস ওটস খাওয়া নিরাপদ। এগুলো হলো গ্লুটেন মুক্ত বা স্বল্প গ্লুটেন যুক্ত হওয়ার কারণে অনেকের গম বা গ্লুটেন এলার্জির ক্ষেত্রে সঠিক বিকল্প হতে পারে।
ফ্যাট যুক্ত মাছ যেমন সালমন এবং ম্যাকারেল ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ যা আন্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রাখে। এটি শরীরে এলার্জির কারণে সৃষ্ট প্রধাহক কমাতে সহায়তা করে দুই ও প্রবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ইমিউন সিস্টেম কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে এবং এলার্জি লক্ষণ নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে।
এলার্জি রয়েছে এরকম মাছ কোনগুলো
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো? এই সম্পর্কে আমরা আলোচনা করেছি। এখন আমরা জানবো এলার্জি রয়েছে এরকম মাছ কোনগুলো। এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে এমন মাছের মধ্যে কিছু প্রজাতি বেশ সাধারণ। টুনা মাছ অনেকের জন্য এলার্জি প্রতিক্রিয়া ঘটায় বিশেষত যারা সামুদ্রিক মাছের প্রতি সংবেদনশীল।
ftআরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের দাঁত উঠার ১০ লক্ষন
স্যালমন নামে পরিচিত ফ্যাটি মাছেও অ্যালার্জি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে তাই এ ধরনের মাছ এড়িয়ে চলা উচিত। কড মাছ একটি সাদা মাছ যা থেকে অনেকের শরীরে এলার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। কড মাছের প্রোটিন অনেকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ম্যাকেরেল মাছ যা সামুদ্রিক মাছের তালিকায় পড়ে সেটা এলার্জির সম্ভাবনা বাড়ায়। হেরিং মাছ অনেকের ত্বকে এলার্জি লক্ষণ বা শ্বাসকষ্টে সমস্যা তৈরি করতে পারে। যাদের মাছের প্রতি সংবেদনশীলতা বেশি তাদের সব ধরনের মাছ এড়িয়ে চলা উচিত।
এলার্জি সমস্যা হলে আমাদের করণীয়
এলার্জি সমস্যা হলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত যাতে এর প্রভাব কমানো যায়। প্রথমত এলার্জেন থেকে দূরে থাকা সবচেয়ে কার্যকর উপায়। যদি ধোলা, পোলেন বা কোন খাবার থেকে এলার্জি হয় সেগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। বিশুদ্ধকরণ বায়ু যন্ত্র দিয়ে ধুলা পোলেনের পরিমাণ কমানো যেতে পারে।
এলার্জির উপসর্গ দেখা দিলে অ্যান্টিহিস্টামিন বা ডিকনজেস্ট্যান্ড ওষুধ নিতে হবে। যদি উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এলার্জির টিকা ইমিউনথেরাপি নেওয়া ক্ষেত্র বিশেষ কার্যকর হতে পারে।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরী। পরিমিত পানি পান করা এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ধূমপানে এলার্জি সৃষ্টি করে এমন জিনিসপত্র এড়িয়ে চলা উচিত যাতে এলার্জি প্রভাব কমানো যেতে পারে।
এলার্জি রোগের চিকিৎসা
এলার্জি রোগের চিকিৎসা বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে যার মধ্যে ওষুধ, জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। এন্টিহিস্টামিন ওষুধ প্রায়শই ব্যবহৃত হয় যার শরীরে কার্যকারিতা কমিয়ে এলার্জির লক্ষণ যেমন চুলকানি হাঁচি বা শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ কালোজিরার ১০ উপকারিতা ও অপকারিতা
চিকিৎসকের পরামর্শে এলার্জি টিকা দেওয়া যেতে পারে। এটি দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার অংশ যেখানে শরীরকে ধীরে ধীরে অ্যালার্জিনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় যাতে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। এটি এলার্জির তীব্রতা কমাতে সহায়তা করে এবং দীর্ঘমেয়াদে উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
এলার্জির উৎস থেকে নিজেকে দূরে রাখা যেমন ধূলা পশুর ল োম এবং নির্দিষ্ট খাবার এড়ানো এলার্জি প্রতিরোধের সহায়তা করে। এছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যেতে পারে।
আমাদের শেষ কথা
এলার্জি জাতীয় খাবার কোনগুলো? এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করে এলার্জি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি এলার্জি সমস্যায় ভুগেন এবং এলার্জি সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল আপনার জন্যই এখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এলার্জি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করি আপনারা এখান থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি আরো পড়তে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
পদ্মাম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url