বাচ্চাদের দাঁত উঠার ১০ লক্ষন - দাঁত উঠলে করণীয়

 বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ আমরা অনেকেই জানিনা? যাদের যখন দাঁত উঠতে শুরু করে তখন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিটি পিতা-মাতার উচিত বাচ্চাদের সময় করণীয় গুলো জানা।

বাচ্চাদের দাঁত-উঠার ১০-লক্ষন

সাধারণত একটি নির্দিষ্ট বয়সে বাচ্চাদের দাঁত উঠে থাকে তাই আগে থেকেই আমাদের বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ এর সাথে বাচ্চাদের দাঁত উঠলে করণীয় গুলো জেনে রাখতে হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ - দাঁত উঠলে করণীয়

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ

বাচ্চাদের দাঁত উঠার লক্ষণ অনেক পিতা-মাতা জানে না। সাধারণত এ বিষয়গুলো না জানার কারণে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। কারণ অনেক বাচ্চা আছে যাদের মুখ অনেক বেশি ব্যথা হয় দাঁত ওঠার সময় কিন্তু তারা বলতে পারেনা যার ফলে পিতা-মাতা সেগুলো বুঝতে পারে না। তাই আগে থেকে আমাদেরকে বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় যে সকল লক্ষণ প্রকাশ পায় সেগুলো জেনে রাখতে হবে।
  • কামড়ানোর স্বভাবটি  বৃদ্ধি পায়
  • খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়
  • মুখ থেকে লালা ঝরা বেড়ে যায়
  • কান ধরে টানাটানি
  • চোষন প্রবণতার বৃদ্ধি

কামড়ানোর স্বভাবটি বৃদ্ধি পায়ঃ বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় মাড়ি থেকে দাঁত বেরিয়ে আসতে শুরু করায় যে চাপ পড়ে তার মাটি পৃষ্ঠে একটি অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। আর সেটিকে সামলে উঠার চেষ্টায় শিশু পাল্লা দিয়ে তার প্রিয় খেলনা গুলিকে কামড়ানো শুরু করে অথবা তার নিজের হাতের আঙ্গুলগুলি উপরে কামড় দিয়ে চিবানোর চেষ্টা করে।

খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়ঃ বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় ভীষণ যন্ত্রণা হয়। যা শিশুকে বিপর্যস্ত করে তোলে। সে সময় শিশু যা ভাবতে থাকে তা হল কিভাবে সে যন্ত্রণার উপশম করা যায়। যার পরিণতিতে শিশু একেবারে কোন কিছু খেতে পারে না।

মুখ থেকে লালা ঝরা বেড়ে যায়ঃ বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় তাদের মুখ থেকে লালা ঝরা বেড়ে যায় দাঁত ওঠা বুঝতে পারার এটি একটি দারুন লক্ষণ। এই সময় প্রায়ই তাদের মুখ থেকে অতিরিক্ত লালার নিঃসরণ শুরু হয়। যার পরিণতিতে বাচ্চাদের অনেক সময় ডায়রিয়া হতে পারে।

কান ধরে টানাটানিঃ বাচ্চাদের যখন দাঁত উঠতে শুরু করে তখন তারা তাদের মাড়িতে বেশ ভালো মতো একটা যন্ত্রণা অনুভব করে। মাঝেমধ্যে তাদের কানের মধ্যে একটা অদ্ভুত অনুভূতি সৃষ্টি করে। সে সময় কান ধরে টানলে সাময়িকভাবে তাদের যন্ত্রনা লাগো হতে পারে তাই তারা অনবরতই গানগুলো ধরে টানতে চেষ্টা করে।

চোষন প্রবণতার বৃদ্ধিঃ বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় যে অদ্ভুত ধরনের অত্যাধিক চাপ সৃষ্টি হয় তারা কমানোর জন্য সব রকম চেষ্টায় করে। তারা কামড়ানোর সাথে সাথে তাদের হাতের নাগালে যা কিছু পায় সেগুলো নিয়ে তারা চোষার চেষ্টা করে। একটা ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে হবে যে বাচ্চা যা কিছুই মুখে ঠিক না কেন সেটা যেন পরিষ্কার হয়।

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়

বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় করণীয় সম্পর্কে পিতা-মাতার জেনে রাখা উচিত। ছোট বাচ্চারা যেহেতু সঠিক ভাবে বলতে পারেন এবং বুঝতে পারে না তাদের কোন ধরনের সমস্যা হয়েছে তাই দাঁত উঠার সময় আমাদের এই খেয়ালগুলো রাখতে হবে। কারণ দাঁত উঠার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে চলুন এই সময় পিতা-মাতার করণীয় জেনে নেওয়া যাক।
  • দাঁত উঠার সময় বাচ্চার মাড়িতে চাপ পড়ে এবং ব্যাথা হয় তাই মাড়িতে নরম আঙ্গুল দিয়ে হালকাভাবে মালিশ করতে হবে। এর ফলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে এবং মাড়ির চাপ ও ব্যথা কমে যাবে। চাইলে নরম কাপড় বা ভেজা গজ দিয়ে মাড়ি পরিষ্কার করে হালকা চাপ দেওয়া যাবে।
  • ঠান্ডা বস্তু দাঁত ওঠার ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকর। ঠান্ডার টিথার বা ঠান্ডা চামচ বাচ্চার মুখে ধরতে হবে যা মাড়ির ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। এটি বাচ্চা হারাম দেয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে ঠান্ডা জিনিস যেন খুব বেশি ঠান্ডা না হয়।
  • বাজারে অনেক ধরনের টিথিং খেলনা পাওয়া যায় যেগুলো বাচ্চারা চিবাতে পছন্দ করে। এ খেলনা গুলি মাড়ির চাপ কমাতে সহায়তা করে। টিথিং রিং বা টিথিং খেলনা বাচ্চাদের ব্যথা কমিয়ে শান্ত রাখে। প্লাস্টিক বা রাবারের টিথিং ব্যবহার করা যেতে পারে যা ক্ষতিকর পদার্থের মুক্ত।
  • দাঁত উঠার সময় বাচ্চাদের খাবার চিবানো কঠিন হয়ে পড়তে পারে। তাই নরম ও পুষ্টিকর খাবার দেওয়া উচিত যেমন ফলের পিউরি, পুডিং বা নরম নরম সবজি। এটি বাচ্চার পুষ্টি ঠিক রাখতে এবং অস্বস্তি কমাতে সহায়তা করে।
  • দাঁত উঠার সময় বাচ্চারা অনেক বেশি অস্বস্তি অনুভব করলে এবং ব্যথা বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শে বেবি প্যারাসিটামল বা অন্য কোন ব্যথা নাশক ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। তবে কোন ওষুধ দেওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
  • দাঁত উঠার সময় সময় বাচ্চার অতিরিক্ত লালা ঝরতে পারে। অতিরিক্ত লালা ত্বকের  সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই নরম কাপড় বা কা গজ দিয়ে নিয়মিত বাচ্চার মুখ মুছে দিতে হবে। এছাড়া বাচ্চার গলার আশেপাশে লালা জমলে র‍্যাশ বা চুলকানি হতে পারে তাই সে অংশ পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • দাঁত ওঠার সময় অনেক বাচ্চা বা কান্নাকাটি করতে পারে কারণ তাদের অস্বস্তি বোধ হয়। এ সময় ধৈর্য ধরে বাচ্চাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। আদর করা খেলার মাধ্যমে মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়া এবং তাদের প্রিয় জিনিস গুলো দিয়ে ব্যস্ত রাখা যেতে পারে।

বাচ্চাদের দাঁত না উঠার কারণ

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকে বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ সম্পর্কে জানেনা। সাধারণত অনেক বাচ্চার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সময় পার হয়ে গেছে কিন্তু দাঁত ওঠার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। যদি আমাদের বাচ্চার ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আমাদের করণীয় কি? এ বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে।

দাঁতের গঠন এবং বৃদ্ধি পুষ্টির উপর নির্ভর করে। বাচ্চা শরীরে যদি ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, বা ভিটামিন ডি এর অভাব থেকে থাকে তাহলে দাঁত ওঠার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে। ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস দাঁত গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে।


বাচ্চাদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বিশেষ করে থাইরয়েডের সমস্যা দাঁত ওঠার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। হাইপোথাইরয়েডিজম বা শরীর থাইরয়েড হরমোনের অভাব থাকলে দাঁত উঠতে দেরি হতে পারে। এরপরে বাচ্চা শরীরে শারীরিক বৃদ্ধিতেওৎ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় জ্বর

বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় অনেক জ্বর আসে। আমাদের বাচ্চার দাঁত উঠার সময় যদি জ্বর আসে তাহলে আমাদের জ্বর প্রতিকার করার কারণ জানতে হবে। দাঁত উঠার সময় শিশুর ইমিউন সিস্টেম কিছুটা দুর্বল হতে পারে। দাঁতের বৃদ্ধি এবং মাড়ির চাপের কারণে বাচ্চাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা সাময়িকভাবে কমে যায়। ফলে শিশুর জ্বর দেখা যেতে পারে। তবে এই জ্বর সাধারণত হালকা থাকে এবং নিজে থেকেই কমে যায়।

বাচ্চাদের দাঁত-উঠার ১০-লক্ষন

দাঁত ওঠার সময় বাচ্চার মাড়িতে চাপ পড়ে এবং মাড়ি ফোলা বা প্রদাহ হতে পারে। এই প্রদয়ের ফলে শিশুর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে যা হালকা জ্বর সৃষ্টি করতে পারে। শিশুরা অস্বস্তি বোধ করে এবং এর ফলে তারা কান্না করতে পারে বা খাওয়া-দাওয়ায় অনিহা দেখায় যা তাদের শরীরের তাপমাত্রা বাড়ানোর আরেকটি কারণ হতে পারে।

দাঁতের ওঠার সময় দেখা দেওয়া জ্বর সাধারণত ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে থাকে। স্বাভাবিক এবং হালকা জ্বর হিসেবে  বিবেচিত সাধারণ এক - দুদিন মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে যদি জ্বরের চেয়ে বেশি বা দীর্ঘস্থায় হয় তাহলে এটি দাঁত ওঠার কারণ নয় অন্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

বাচ্চাদের দাঁত পড়ার সময়

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার  সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি ছি যে বাচ্চাদের দাঁত পড়ার সময় কি হয়ে থাকে এবং কত বয়সে দাঁত পড়ে এ বিষয়গুলো আমাদের অনেকের জানা নেই। বাচ্চাদের সাধারণত ছয় থেকে সাত বছর বয়সের মধ্যে প্রথমে দুধের দাঁত পড়া শুরু হয় এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে ১২ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত।

এ সময়ের মধ্যে তাদের বৃষ্টি দুধের দাঁত পড়ে যায় এবং নতুন স্থায়ী দাঁত উঠতে শুরু করে। দাঁত পড়ার সময় মাড়িতে একটু ফোলা ভাব বা অসস্তিবোধ হতে পারে যা স্বাভাবিক। দাঁত ঢিলে হয়ে মাড়ি থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে। এ সময় শিশুরা দাঁত নাড়তে পারে না এবং খাওয়ার সময় দাঁত আলগা লাগতে পারে।


দুধের দাঁত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থায়ী দাঁত মাড়ির নিচ থেকে বেরিয়ে আসে। স্থায়ী দাঁত শক্ত ও বড় হয় এবং এগুলোই জীবনের বাকি সময়টুকু রয়ে যায়। দাঁত পড়ার সময় মাড়ির বিশেষ যত্ন নিতে হবে। পরিষ্কার রাখতে বাচ্চার নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে।

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় বমি

বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় বমি হওয়া একটি অস্বাভাবিক লক্ষণ। আমরা জেনেছি বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সম্পর্কে। কিন্তু বমি হওয়া সাধারণত দাঁত ওঠার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। যদি বাচ্চা দাঁত ওঠার সময় বমি হয় তাহলে এটি অন্য কোন স্বাস্থ্যগত সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।

দাঁত ওঠার সময়  ইমিউন সিস্টেম সেটা দুর্বল হয়ে পড়ে যার ফলে শিশু সহজে ইনফেকশনের স্বীকার হতে পারে। এ সময়ে যদি বমি হয় তবে এটি গ্যাসট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণের কারণ হতে পারে যা ডায়রিয়া এবং বমির সঙ্গে দেখা যায়।

বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় বাচ্চারা যেকোনো কিছু মুখে দিতে চায়। এটি যদি ময়লা বা অস্বাস্থ্যকর  কিছু হয় তবে তা পাকস্থলীতে গিয়ে বমির কারণ হতে পারে। বাচ্চার মুখ ও হাত পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরী এই সময়। বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় যদি বমি দেখা যায় তাহলে বাচ্চাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাবার খাওয়াতে হবে।

বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার  সম্পর্কে আমরা জেনেছি। যদি এ লক্ষণ গুলো প্রকাশ না পায় অর্থাৎ বাচ্চাদের দাঁত না উঠতে শুরু করে তাহলে বেশ কিছু করণীয় রয়েছে অবশ্যই সেগুলো করতে হবে। সাধারণত প্রথম দাঁত ছয় মাসের মধ্যে উঠতে শুরু করে তবে কিছু ক্ষেত্রে দাঁত ওঠার প্রক্রিয়া বিলম্ব হতে পারে।

দাঁত ওঠার জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি বিশেষত ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন হয়। যদি শিশুর শরীরে পুষ্টির ঘাটতি থাকে তবে দাঁত উঠতে দেরি হতে পারে। ভিটামিন ডি শরীরে শোষণ করতে সহায়তা করে যা দাঁতের বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


কিছু ক্ষেত্রে মাড়ের গঠনে সমস্যার কারণে দাঁত উঠতে দেরি হয়। মাড়ির নিচে দাঁতের বিকাশে সমস্যা থাকলে বা দাঁতের গঠন সঠিকভাবে না হলে দাঁত মাড়ির ভেতরে আটকে থাকতে পারে যার ফলে দাঁত ওঠার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ঘটে।

দুধ দাঁত পড়ার কতদিন পর দাঁত উঠে

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ আমরা জানলেও দুধ দাঁত পড়ার কতদিন পর দাঁত উঠে তা আমরা জানি না। তবে এগুলো আমাদের জেনে নিতে হবেদুধের দাঁত পড়ার সাধারণত ১ থেকে ছয় মাসের মধ্যে নতুন স্থায়ী দাঁত উঠতে শুরু করে। তবে এটি নির্ভর করে বাচ্চার শারীরিক বিকাশ ও অন্যান্য ফ্যাক্টরের উপর। কিছু বাচ্চার ক্ষেত্রে নতুন দাঁত খুব দ্রুত উঠে আবার কিছু ক্ষেত্রে দেরি করে হতে পারে।

বাচ্চাদের দাঁত-উঠার ১০-লক্ষন

প্রথমে দুধের দাঁত পড়ার পর মাড়ি কিছুটা নিরাময় হতে সময় লাগে। নতুন দাঁত ওঠার জন্য মাড়ি প্রস্তুত হওয়ার সময় প্রয়োজন। দাঁতের গোড়া বা শিকড় তৈরি হতে থাকে যা মাড়ির নিচে স্থায়ী দাঁতের জন্য জায়গা তৈরি করে। মাড়ির ভেতর থেকে দাঁত ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে।

যদি দাঁত পড়ার ছয় মাসের বেশি সময় ধরে নতুন দাঁত না ওঠে তবে দাঁতের  ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিছু ক্ষেত্রে মাড়ির নিচে দাঁত আটকে থাকতে পারে যা ডাক্তারের সহায়তায় সমাধান করা যেতে পারে।দাঁত ওঠার প্রক্রিয়াটি ব্যক্তিবেদে ভিন্ন হতে পারে।

বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় পাতলা পায়খানা

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ কি হতে পারে তা আমরা জানি তবে বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় পায়খানা কেন হয় তা আমাদের জানা নেই। তবে এ বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে। দাঁত উঠার সময় পাতলা পায়খানা হয় একটি সাধারণ অভিযোগ তবে একটি দাঁত ওঠার সরাসরি উপসর্গ নয়।

দাঁত ওঠার সময় বাচ্চারা বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং তাদের ইমিউন সিস্টেম কিছুটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে যা অন্যান্য সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে। দাঁত ওঠার সময় বাচ্চারা বেশি লালা ঝরায় যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায় এ কারণ গুলোর মূলত পাতলা পায়খানার সম্ভব কারণ হতে পারে।

দাঁত ওঠার সময় বাচ্চারা বিভিন্ন খেলনা বা জিনিস মুখে দেয় যা ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটাতে পারে এ সংক্রমণের ফলে শিশুদের মাঝে হালকা ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হতে পারে। পাতলা পায়খানা হলে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

আমাদের শেষ কথা

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। যদি আপনি লক্ষণগুলো জেনে রাখতে পারেন তাহলে খুব সহজে জানতে পারবেন আপনার বাচ্চার কখন দাঁত উঠছে। সাধারণত বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় লক্ষণগুলো প্রকাশ তাই আমাদেরকে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। বিশেষ করে যারা নতুন পিতা-মাতা হয়েছে তাদের।

আশা করি আপনারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো জানতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মাম্যাক্স আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url